পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 হেমন্ত মুখ তুলে বললে, “বই পড়ছি না ভাই, ছবি দেখছি! “এখানা হচ্ছে ক্যালকাটা পুলিস জার্নাল।”

 -“পুলিস জার্নালের ছবি? তাহ'লে নিশ্চয় তোমার কোন স্যাঙাতের—-অর্থাৎ চোর কি খুনীর চেহারা?"

 -"না রবীন, তোমার রসিকতা মাঠেই মারা গেল । এ ছবি দেখে আমি এক পৃথিবীবিখ্যাত অমর শিল্পীর কথা ভাবছি।”

 —“কি সর্ব্বনাশ, পুলিসের শনির দৃষ্টি আজকাল কি শিল্পীদেরও ওপরে গিয়ে পড়েছে?”

 —“রবীন, পুলিসের ওপরে অকারণে তুমি এতটা নির্দ্দয় হোয়োনা। আর পুলিসের দৃষ্টি শিল্পীদের ওপরে পড়বেই বা না কেন শুনি? শিল্পী মানেই কি সাধু? ফ্রান্সের বিখ্যাত কবি ভিলন কি চোর আর খুনী ছিলেন না? ইতালীর সিজিস্‌‌মোন্দো মালাতেসার নাম শুনেছ?”

 -“না। কে তিনি?”

 —“কবি, পণ্ডিত, ললিতকলার উপাসক। মধ্য-যুগে তার জন্ম। কিন্তু তার মত দুর্নীতিপরায়ণ ক্রিমিনাল তুমি কলকাতার কোন কফিখানা বা বস্তী খুঁজলেও পাবে না। ও-সব কথা যাক্! আমি এখন কি দেখছি জানো? তাজমহলের স্রষ্টা সাজাহান বাদসার পাঞ্জা।”

 —“দেখি।” বইখানি হাতে নিয়ে দেখলুম, একখানি ছবিতে ছাপা সম্রাট সাজাহানের ডানহাতের ছাপ।

১২