পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 বৈঠকখানার ভিতরে ঢুকলেন সতীশবাবু এবং তাঁর পিছনে পিছনে আর একটি ভদ্রলোক—পরোনে তাঁর কোট-পেন্ট্‌‌‌‌লুন।

 —“এই যে সতীশবাবু! আসুন, আসুন” ব'লেই হেমন্ত জিজ্ঞাসু চোখে পিছনের ভদ্রলোকটির দিকে তাকালে।

 সতীশবাবু বললেন, “ওঁকে চেনেন না বুঝি? উনি হচ্ছেন: এ-অঞ্চলের বিখ্যাত ডাক্তার মিঃ, এ, দত্ত।”

 —“মিঃ, এ, দত্ত? অর্থাৎ শ্রীযুক্ত অমরনাথ দত্ত? নমস্কার, নমস্কার! সতীশবাবু, উনি তো শুধু ডাক্তার নন, উনি যে রসায়ন-শাস্ত্র নিয়েও গবেষণা করেন, ইংরিজী কাগজে প্রবন্ধ লেখেন! মিঃ, দত্ত, এই কালকেই একখানি পত্রিকায় মানুষের দেহের ওপরে Butyl chloride-এর প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে আপনার একটি সুলিখিত প্রবন্ধ পড়েছিলুম।”

 সতীশবাবু বললেন, “আপনি এত খবরও রাখেন! ”

 মিঃ দত্ত লজ্জিত ভাবে বললেন, “হেমন্তবাবুর মত পণ্ডিত লোকের মুখে আমার সুখ্যাতি শুনে আমি গর্বব অনুভব করছি!”

 হেমন্ত অট্টহাস্য ক'রে বললে, “আমি আবার পণ্ডিত নাকি? মোটেই নয়—মোটেই নয়! জ্ঞান-সমুদ্রের তীরে আমি খালি নুড়ি কুড়োবারই চেষ্টা করি! তা আমার পোড়াকপালে নুড়িও সহজে জোটে না! ওকি, আপনারা এখনো দাঁড়িয়ে রইলেন যে? বসুন, বসুন—ওরে মধু, আরো কাপ দুয়েক চা আন্ রে!”

১৭