পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

 সতীশবাবু ও মিঃ দত্ত আসন গ্রহণ করলেন।

 এখানে সতীশবাবুর একটুখানি পরিচয়ের দরকার। সতীশবাবু হচ্ছেন কলকাতা পুলিসের একজন নাম করা ইন্‌স্পেক্টার এবং হেমন্তের সঙ্গে তার আলাপ পরিণত হয়েছে রীতিমত বন্ধুত্বে। তিনি প্রায়ই এখানে আসেন এবং অপরাধতত্ত্ব নিয়ে অনেকক্ষণ ধ'রে আলোচনা ক'রে যান। অনেক সাধারণ পুলিসের লোকের মত নিজেকে তিনি একজন সবজান্তা ও মস্ত-বড় মনুষ্য-রত্ন ব'লে বিবেচনা করেন না। কোন জটিল মামলা হাতে পেলে হেমন্তের সঙ্গে পরামর্শ করতে কুন্ঠিত হন না একটুও ৷

 চায়ের বারফোল হাতে ক'রে মধু ঘরের ভিতরে প্রবেশ করল।

 সতীশবাবু বললেন, “হেমন্তবাবু, পিপ্টনের‘গ্রীন লেবেল" চায়ের লোভে আজ আমি এখানে আসিনি। আমি মহাসমস্যায় পড়েছি, তাই ভলেছি আপনার কাছে “সুপরামর্শ নিতে।”

 হেমন্ত হাসিমুখে বললে, “সুপরামর্শ দেওয়া আর দাবা বোডের ওপর-চাল দেওয়া, দুটোই খবু সহজ। সুতরাং সুপরামর্শ চেয়ে আপনাকে হতাশ হ'তে হবে না।”

 সতীশবাবু চায়ের একটা পেয়ালা তুলে নিয়ে বললেন, “না হেমন্তবাবু, ব্যাপারটাকে আপনি হাল্‌কা ভাবে নেবেন না। আমার থানার এলাকায় সহরের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি খুন হয়েছেন আর চুরি গিয়েছে নগদ আশী হাজার টাকা।”

১৮