পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 হেমন্ত সোজা হয়ে ব’সে বললে, “কে খুন হয়েছে আর কার টাকা চুরি গিয়েছে?”

 —“হত ব্যক্তির নাম মতিলাল মুখোপাধ্যায়। টাকা চুরি গেছে তাঁরই।”

 —“হ্যাঁ, ও নাম আমি শুনেছি বটে। তিনি তো যদুগোপাল বসু স্ট্রীটে থাকতেন?”

 —“হ্যাঁ। খুনী ধরা পড়ে নি।”

 —“কোন সূত্র পাওয়া যায় নি?”

 —“সূত্রও পেয়েছি কিছু-কিছু, কিন্তু এত এলোমেলো যে কাজে লাগাতে পারছি না। সন্দেহ করবার মত লোকও পেয়েছি, তবু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।”

 হেমন্ত আবার কৌচের উপরে পা তুলে কুশনের উপরে হেলে পড়ল ৷ তারপর দুই চোখ মুদে ফেলে বললে, “তাহ’লে আগে সব কথা শুনি। মিঃ দত্ত, চোখ মুদেছি ব'লে ভাববেন না আমি ঘুমোবার ফিকিরে আছি। সতীশবাবু আমার অভ্যাস জানেন, চোখ মুদলে আমার শোনবার আর চিন্তা করবার শক্তি দ্বিগুণ হয়ে ওঠে!”