পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

হত্যাকাহিনী

 সতীশবাবু বলতে লাগলেন ঃ

 “মতিলাল মুখোপাধ্যায় খুব ধনী লোক। ব্যাঙ্কে তাঁর প্রচুর টাকা জমা আছে, তা ছাড়া কলকাতায় তাঁর বড় বড় বাড়ীও আছে অনেকগুলো।

 তাঁর বয়স ষাটের কাছাকাছি। তিনি নিঃসন্তান। বছর দুই আগে তাঁর স্ত্রীরও মৃত্যু হয়েছে। মতিবাবুর এক ভাগ্নে আছেন, তাঁর নাম বিনোদলাল চট্টোপাধ্যায়। তিনিই মাতুলের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন।

 স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে মতিবাবুর স্বাস্থ্য ভেঙে যায়, ইদানিং তিনি ‘ক্রণিক্’অজীর্ণ রোগে ভুগছিলেন। তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক হচ্ছেন ডাক্তার এ, দত্ত—যিনি আমার সঙ্গে এসেছেন। মিঃ দত্ত কেবল মতিবাবুর চিকিৎসক নন, তাঁর বিশেষ বন্ধুও। মতিবাবু লোকের সঙ্গে মেলামেশা করতে মোটেই ভালবাসতেন না, এত ধনী হয়েও তাঁর বন্ধুর সংখ্যা তিন-চারজনের বেশী নয়। ওঁদেরও মধ্যে প্রধান হচ্ছেন মিঃ দত্ত। কোন দরকারি বিষয়

২০