নিয়ে পরামর্শের দরকার হ'লে মতিবাবু আগে মিঃ দত্তকে আহ্বান করতেন ৷
প্রাচীন বয়সে স্ত্রীর শোকেই হোক্ বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্যেই হোক, কিছুকাল থেকে মতিবাবুকে নানারকম বাতিকে ধরেছিল ।
কলকাতার বাড়ীগুলো তিনি একে একে বিক্ৰী ক'রে ফেলছিলেন। সেই বাড়া-বিক্রীর টাকা দিয়ে কিনে রাখছিলেন কোম্পানীর কাগজ।
গতকল্য বৈকালেও একখানা বাড়ী বিক্ৰা ক'রে তিনি আশী হাজার টাকা এনে নিজের শোবার ঘরের সিন্দুকের ভিতরে পূরে রেখেছিলেন । হাজার টাকার আশাখানা নোট ।
স্বীর মৃত্যুর পর থেকেই মাতিবাবুর আর এক খেয়াল হয়েছিল। কিন্তু সেটা বনানি আগে তার বাড়ীর কিছু বর্ণনার দরকার ।
মাতবাবুর বসত-বাড়াখানা মস্ত বড়—তার তিনটে মহা । প্রথম — অর্থী - সংন্ন মহনতা বড়গোপাল বসু পাটের উপরেই। সবশেষের তৃতীয় মহলের পিছনে আছে কালা বিশ্বাস লেন । সেদিকেও একটা দরজা আছে।
এখন তার খেয়ালের কথা বলি । মতিবাবু আগে থাকতেন প্রথম মহলে, কিন্তু স্ত্রীর পরলোকগমনের পর থেকেই বড় রাস্তার ধার ছেড়ে তৃতীয় মহলে এসে বাস করতেন। তিনি অন্য কাকন
সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন না, যে তিন-চারজন বিশেষ বন্ধু তার
২১