পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন, তাঁরা আসতেন ঐ কালী বিশ্বাস লেন দিয়ে, তৃতীয় মহলে। এদিকেও আলাদা একটা সিঁড়ি আছে।

 তৃতীয় মহলে ঢোকবার নীচেকার দরজায় কোন দ্বারবান থাকে না। কিন্তু সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠেই মতিবাবুর ঘরের সামনে যে বারান্দা বা দালান পাওয়া যায় সেখানে দিনরাত বাঁধা থাকে প্রকাণ্ড এক মাষ্টিফ কুকুর। তাকে এড়িয়ে মতিবাবুর ঘরে ঢোকবার উপায় নেই। সে কেবল কামড়ায় না, অচেনা লোক দেখলেই বিষম চেঁচিয়ে পাড়া জাগিয়ে তোলে।

 বাড়ীর প্রথম দুই মহলে বাস করেন মতিবাবুর ভাগিনেয় বিনোদলাল ও অন্যান্য কয়জন নিকট-সম্পর্কীয় আত্মীয়—তাদের মধ্যে অধিকাংশই স্ত্রীলোক।

 মাতুলের সম্পত্তির অরবিস্তর তত্ত্বাবিধান ছাড়া বিনোদবাবু আর কোন কাজ করেন না। তবে আমি খবর নিয়ে জেনেছি যে, বিনোদবাবুর ঘোড়দৌড়ের নেশা আছে যথেষ্ট। এবং গোপনে এই নেশায় মেতে তিনি অনেক টাকা নষ্ট করেছেন, ফলে বাজারে তার ধারও সামান্য নয় ৷

 তাঁর মাতুল এ-সব কথা জানতেন না, কিন্তু কথাগুলো জানতে পারেন আমাদের এই মিঃ দত্ত। তিনি এ পরিবারের শুভানুধ্যায়ী বন্ধু, কাজেই সব জেনে-শুনেও চুপ ক'রে থাকতে পারলেন না, মতিবাবুর কাণে সব কথা তোলেন।

 শুনেই তো মতিবাবু মহা ক্ষাপ্পা! একেই তো তিনি

২২