পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বেজায় কড়া লোক, তার উপরে জীবনে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করতেন যারা ‘রেস্’ বা জুয়া খেলে তাদের। তখনি বিনোদলালের তলব হ'ল। মামার কাছ থেকে বিষম বকুনি ও গালাগালি খেয়ে তাঁরও ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটল, তিনিও মতিবাবুকে দু-এক কথা শুনিয়ে দিলেন। মতিবাবু রেগে অজ্ঞান হয়ে চীৎকার ক'রে বললেন, “জুয়াড়ীকে আমি আমার সম্পত্তির এক পয়সাও দেব না! আমি নতুন উইল করব।”

 এই ব্যাপারটা হয়ে গেল কাল দুপুর-বেলায়। তারপর মতিবাবু বেরিয়ে অ্যাটর্ণি-বাড়ীতে যান ৷ সেখান থেকে আশী হাজার টাকা নিয়ে বৈকালে ফিরে আসেন।

 সন্ধ্যার পর তাঁর শরীর কিছু খারাপ হয়। তিনি একটু সকাল-সকালই বিছানায় আশ্রয় নেন এবং শোবার আগে নিজের হাতে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ক'রে দেন। আপনারা জানেন, কাল সন্ধ্যায় অকাল-বর্ষা নেমেছিল? বৃষ্টি হয় ঘণ্টাখানেক ধ'রে।

 বৃষ্টি থামে রাত ন'টার সময়। বাড়ীর নিয়মমত রাত সাড়েদশটার সময় দরোয়ান এসে কালী বিশ্বাস লেনের দিকের দরজা বন্ধ ক'রে দিয়ে যায়।

 আজ সকালে দেখা যায়, মেঝের উপরে মতিবাবুর মৃতদেহ প'ড়ে রয়েছে এবং ঘরের দরজা খোলা। কিন্তু বাড়ী থেকে রাস্তায় বেরুবার সব দরজাই বন্ধ।

 খবর পেয়ে আমি গিয়ে যা দেখলুম তা হচ্ছে এই।

২৩