পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 বিনোদলাল বালকের মত অধীর হয়ে কাঁদছেন আর মিঃ দত্ত তাঁকে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করছেন।

 মতিবাবুর মৃতদেহ প'ড়ে রয়েছে ঠিক খাটের তলায়। তাঁর মুখের উপরে দারুণ যাতনা ও ভয়ের চিহ্ন——সেই সঙ্গে রয়েছে বিষম বিস্ময়েরও আভাস!

 তাঁর গলার উপরে একটা নীল দাগ। বিছানার উপরে ধবস্তাধবস্তির চিহ্ন। মতিবাবুর দেহের পাশে ছড়ানো রয়েছে একটা ভাঙা কাঁচের গেলাসের ছোট-বড় টুক্‌‌রো—কোন কোন কাঁচ রক্তাক্ত।

 আর একটা আশ্চর্য্য জিনিষও পেয়েছি। খুব পুরু পশমের একটা দস্তানা!

 ঘরের মেঝেতে কাদা-মাখা জুতোর দাগ আছে—দু-রকম জুতোর। কিন্তু কোন দাগ এমন স্পষ্ট বা সম্পূর্ণ নয় যে নিখুঁত মাপ বা ছাঁচ নেওয়া যেতে পারে। তবে দুজন লোক যে বৃষ্টির পরে এই ঘরের ভিতরে এসেছিল, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই। ঘরের দরজার ঠিক বাইরেই যে একজন লোক দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিল, তার একজোড়া জুতোর স্পষ্ট ছাপ দেখেই সেটা অনুমান করা যায়। তার খাঁজ কাটা সোলের ছাপ দেখলে আরো বোঝা যায়, সে এসেছিল রবারের জুতো প'রে। ঘরের মেঝেতেও এমনি রবারের জুতোর আংশিক ছাপ আছে। সুতরাং বুঝতে দেরি লাগে না যে, প্রথম একজন ঘরে ঢোকবার পরে সেও ঘরের ভিতরে ঢুকেছিল।

২৪