পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দরজার বাইরেকার এই রবারের জুতোর ছাপ আমি নিয়েছি।

 মতিবাবুর মৃতদেহ দেখলে মনে হয়, কেউ বা কারা গলা টিপে তাঁকে মেরে ফেলেছে।

 তাঁর লোহার সিন্দুক খোলা, মতিবাবুর নিজের চাবি দিয়েই সেটা খোলা হয়েছে। ভিতর থেকে কেবল আশী হাজার টাকার নোটই অদৃশ্য হয়নি। মতিবানুর টাকা খাটানোর ঝোঁকও ছিল। হ্যাণ্ডনোটেও তিনি টাকা ধার দিতেন। সিন্দুকের ভিতরে কতগুলো হ্যাণ্ডনোটও ছিল, সেগুলোও আর নেই। আর পাওয়া যাচ্ছে না মতিবাবুর পকেট-বইখানা! তাঁর রোজ ডায়ারি লেখার অভ্যাস ছিল।

 এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হত্যাকারী কে?

 খুনী যে বাহির থেকে আসেনি তার প্রমাণ হচ্ছে প্রথমত, বাড়ীর সব বাইরের দরজাই ছিল ভিতর থেকে বন্ধ। দ্বিতীয়ত, বারান্দার মাস্ট্রিক কুকুরটা কোন সাড়াশব্দ দেয়নি—তার মানে, খুনী তার অচেনা নয়।

 বাড়ীর ভিতরে মেয়েদের কথা ছেড়ে দি। পুরুষ-আত্মীয় আছে মোটে চারজন। বিনোদলাল, একজন প্রায় সত্তর বছরের বুড়ো, একজন বাতে-পঙ্গু লোক, আর একটি পনেরো বছরের ছোকরা। বাকি সবাই চাকর-দ্বারবান প্রভৃতি। যদি ধরা যায়, টাকার লোভে তারা মনিবকে খুন করেছে, তাহ'লে ও একটা প্রশ্ন জাগে। খুনীদের পায়ে জুতো ছিল, চাকর-দ্বারবানরা

২৫