পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বাড়ীর ভিতরে জুতো পরে না, পরলেও চুপিচুপি কাজ সারবার জন্যে তারা খালি পায়েই আসত। তারা ডায়ারি চুরি করত না আর দস্তানাও পরত না ৷

 বাড়ীর ভিতরে মতিবাবুর মৃত্যুতে লাভবান হবেন কেবল বিনোদলালই। খুনের দিনই তাঁর সঙ্গে মতিবাবুর ঝগড়া হয়েছিল এবং তাঁর মামা তাঁকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করবেন ব'লে শাসিয়েছিলেন। তাঁর অনেক টাকা। ধার, নগদ টাকার বিশেষ দরকার। তাঁকে অনায়াসে সন্দেহ করা যায়। হয়তো তাঁর আহ্বানেই মতিবাবু নিজে ভিতর থেকে দরজা খুলে দিয়েছিলেন। কুকুর তাঁকে চেনে, তাই চ্যাঁচায় নি।

 কিন্তু ঘটনাস্থলে খুনীর একজন সঙ্গীও হাজির ছিল। সে লোকটি কে? সমস্ত বাড়ী খুঁজে দেখেছি, রবারের জুতোর সঙ্গে কারুর জুতোর মাপ মেলে না। রবারের জুতোও বাড়ীর কারুর নেই।

 হেমন্তবাবু, এই পর্য্যন্ত আমার কথা। এখন আপনি যদি কিছু জিজ্ঞাসা করতে চান, করুন। মিঃ দত্তকে সঙ্গে ক'রে এনেছি, তিনি অনেক বিষয়ে আপনার সন্দেহভঞ্জন করতে পারেন, কারণ তিনি হচ্ছেন মুতিবাবুর পুরাণো বন্ধু ৷”

 হেমন্ত চোখ খুলে বললে, “লাস কি শব-ব্যবচ্ছেদাগারে চালান ক'রে দিয়েছেন?”

 —“না। ইচ্ছে করলে এখনো ঘটনাস্থলেই লাস দেখতে পারেন।”

২৬