পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 —“সম্ভব। শব-ব্যবচ্ছেদ হবার পরই টের পাওয়া যাবে। আচ্ছা সতীশবাবু, বাংলাদেশে শীতকালেও কোন বাঙালী হাতে দস্তানা পরে নাকি? ”

 সতীশবাবু বললেন, “আমি তো জানি পরে না। অন্তত এ-বাড়ীর কেউ কোনদিন দস্তানা ব্যবহার করেনি ব'লেই জেনেছি।”

 মেঝে থেকে দস্তানাটা তুলে নিয়ে হেমন্ত বললে, “অতিরিক্ত পুরু সাদা পশমের দস্তানা। এর ওপরেও রক্তের দাগ রয়েছে ৷ হুঁ, গেলাস-ভাঙা কাঁচে দস্তানার খানিকটা কেটেও গিয়েছে দেখছি। কাঁচের গেলাসটাও ভাঙা, গেলাসের টুক্‌‌রোর ওপরেও রক্তের দাগ, আশ্চর্য্য!”

 সতীশবাবু বললেন, “কেন, আপনি আশ্চর্য্য হচ্ছেন কি কারণে?”

 হেমন্ত আগে লাসটাকে একটু ভুলে তার তলাটা পরীক্ষা করলে। তারপর বিছানার দিকে তাকিয়ে বললে, “এ কাচের গেলাসটা কি মতিবাবুর?”

 —“হ্যাঁ, ঘরের ঐ কোণে গেলাসটা কুঁজোর মুখে বসানো থাকত। দেখুন না, কুঁজোর মুখ এখন আদুড় ৷ ”

 —“বিছানার ওপরে ধ্বস্তাধ্বস্তির চিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে, খুনীদের সঙ্গে মতিবাবু কিছুক্ষণ বুঝেছিলেন। ঘরের আর কোথাও ধ্বস্তাধ্বস্তির চিহ্ন নেই। ধরুন, খুনীরা মতিবাবুর গলা টিপে ধরেছে, মতিবাবু ঝটাপটি করতে করতে মেঝের ওপরে