পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এসে কাবু হয়ে পড়লেন—কিন্তু গেলাসটা ভেঙেছিল তার আগেই, কারণ লাসের পিঠের তলাতেও ভাঙা কাঁচ রয়েছে।... কিন্তু গেলাসটা ভাঙল কেন? আর গেলাসের কাঁচে খুনীর হাতই বা কাটল কেন? গেলাসটা তো আর হঠাৎ জ্যান্তো হয়ে পাখীর মতন পক্ষ বিস্তার ক'রে কুঁজোর মুখ ছেড়ে খুনীদের আক্রমণ করতে আসেনি? যদি বলি ধ্বস্তাধ্বস্তির সময়ে খুনীদের কারুর হাতে গেলাসটা ছিল, তাহ'লেও প্রশ্ন ওঠে, গলা-টেপার সঙ্গে কাঁচের গেলাসের সম্পর্ক কি?”

 সতীশবাবু প্রশংসা-ভরা কণ্ঠে বললেন, “ঠিক! হেমন্তবাবু, আপনি একটা মস্তবড় সূত্র আবিষ্কার করেছেন! এ কথা তো এতক্ষণ আমি ভেবে দেখিনি!”

 হেমন্ত বললে, “গেলাসের নীচের দিকটা এখনো অটুট আছে দেখছি। কিন্তু ওর ভেতরটা একেবারে শুকনো। তবু ওটাকে একবার পুলিসের পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে দেওয়া দরকার। হয় তো ওর মধ্যে কোন বিষের অস্তিত্ব আছে। ওর গায়ে খুনীর আঙুলের ছাপও থাকা সম্ভব ।”

 সতীশবাবু বললেন, “হ্যাঁ, সেটা আমিও আগে থাকতেই স্থির করেছি।”

 —“আর এই দস্তানাটা কি আমাকে আজকের মত ধার দিতে পারেন?”

 —“তা নিন্‌ না। কিন্তু কেন?”

 —“আমি দস্তানাটার রক্ত পরীক্ষা করব।”

৩০