পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 মিঃ দত্ত কৌতূহলী স্বরে বললেন, “তাতে কোন লাভ হবে নাকি?”

 —“হবে বৈকি, মিঃ দত্ত! আপনি ডাক্তার, এটা নিশ্চয় জানেন যে, medico-legal মতানুসারে মানুষদের দেহের রক্ত মাত্র চার গ্রুপে বিভক্ত করা যায়। আপাতত আমি পরখ ক'রে দেখতে চাই, দস্তানার রক্ত কোন গ্রুপে বা শ্রেণীতে পড়ে । তাহ'লে খুনী গ্রেপ্তার হ’লে অনেকটা নিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারবে, এ রক্ত তারই দেহ থেকে বেরিয়েছে কি না।”

 মিঃ দত্ত বললেন, “হেমন্তবাবু, আমি জানতুম না যে, এদেশে গোয়েন্দার কাজে কেউ এমন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আপনি অবাক করলেন দেখছি। আজ বড় দুঃসময়ে আপনার সঙ্গে দেখা হ'ল, নইলে আরো ভালো ক'রে আলাপ করতুম।”

 হেমন্ত বিনীতভাবে বললে, “আমি খুব-রঙীন ফানুষ নই মিঃ দত্ত, দয়া ক'রে আমাকে এত-বেশী আকাশে তুলবেন না। আর আমার সঙ্গে যদি ভালো ক'রে আলাপ করতে চান, তাহ'লে অধীন সর্ববদাই আপনার দ্বারদেশে হাজির থাকতে রাজি আছে।”

 মিঃ দত্ত হেমন্তের একখানি হাত ধ'রে বললেন, “দ্বারদেশে নয় হেমন্তবাবু, একেবারে আমার দোতালার ড্রয়িং-রুমে আপনাকে তুলে নিয়ে যেতে চাই। কাল বৈকালেই আমার ওখানে আপনার চায়ের নিমন্ত্রণ রইল। কেমন, রাজি তো?”

৩১