—"এ আমার সৌভাগ্য। কিন্তু আপনার ঠিকানা তো আমি জানি না।"
—“দশ নম্বর পরেশ মিত্র লেন। এখান থেকে ছ-সাত মিনিটের পথ।”
সতীশবাবু বললেন, “মিঃ দত্ত বেশ লোক যা হোক্! আমরা পড়লুম বাদ! এক যাত্রায় পৃথক ফল!”
মিঃ দত্ত বললেন, “নিশ্চয়ই নয়, নিশ্চয়ই নয়! আপনিও যাবেন, রবীনবাবুও যাবেন!”
আমার কিন্তু গা ঘিন্-ঘিন্ করতে লাগল। সামনে প'ড়ে রয়েছে একটা খুন-করা মানুষের মৃতদেহ, বাড়ীর ভিতর থেকে আসছে আত্মীয়দের বুক-চাপা কান্না—এইখানে দাঁড়িয়ে কিনা নিমন্ত্রণের কথা! তারপরেই বুঝলুম, মিঃ দত্ত হচ্ছেন ডাক্তার -—মড়া কেটে কেটে আর লোকের মৃত্যু দেখে দেখে তাঁর বুক হয়ে গেছে দরাজ; এবং সতীশবাবু হচ্ছেন পুলিসের পুরাণো লোক—জীবনে বহু নিহত মানুষের ভয়াবহ দেহ ঘেঁটে ঘেঁটে এ-সব দৃশ্য তাঁর চোখে হয়ে গেছে নেহাৎ সহজ, সুতরাং তাঁরও মনের বিকার না হওয়াই স্বাভাবিক। যেমন শ্মশানের মুদ্দোফরাসরা; মৃতদেহ ভস্মসাৎ হলে পর তাদের তো চিতার আগুনেই হাঁড়ি চড়িয়ে ভাত রাঁধতে দেখা যায়!
মিঃ দত্ত নিজের হাতঘড়ীর দিকে দৃষ্টিপাত ক'রে ব্যস্ত হয়ে বললেন, “সাড়ে আটটা বাজল! সতীশবাবু, আর তো আমার থাকবার উপায় নেই—ন'টার ভেতরেই আমাকে এক
৩২