রোগীর বাড়ী যেতে হবে। হেমন্তবাবু, আমাকে কি আর আপনার দরকার আছে?”
হেমন্ত বললে, “না মিঃ দত্ত, আপনি অনায়াসেই যেতে পারেন।”
মিঃ দত্ত প্রস্থান করলেন। হেমন্ত খানিকক্ষণ লোহার সিন্দুকটা পরীক্ষা করলে। তারপরে বললে, “সতীশবাবু, এর চাবি কোথায়?”
—“চাবি পাওয়া যাচ্ছে না। বোধহয় খুনীর কাছে আছে। একগোছা চাবি। বাড়ীর ভেতরের লোকই যে এই খুনের সঙ্গে জড়িত আছে, এও তার আর-একটা প্রমাণ। বাইরের খুনী চাবি নিয়ে যাবে কেন? যে চাবি নিয়ে গেছে, নিশ্চয় তার আরো কোন বদ্-মৎলোব আছে।”
হেমন্ত কিছু বললে না। নীরবে ঘরের মেঝের একদিকে তাকিয়ে ব'সে রইল। তারপর উঠে এগিয়ে গিয়ে মেঝের উপর থেকে এক টুক্রো শুক্নো কাদার মতন কি কুড়িয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ সেটা পরীক্ষা ক'রে বললে, “সতীশবাবু, বলুন দেখি এটা কি?”
—“এক টুক্রো শুক্নো কাদা ।”
—“হুঁ। ভিজে পথ দিয়ে হাঁটবার সময়ে খুনীদের কারুর জুতোর গোড়ালি আর ‘সোলে’র খাঁজে এই কাদাটা লেগে গিয়েছিল। তারপর মতিবাবুর সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি করবার সময়ে কাদার টুক্রোটা গোড়ালি আর 'সোলে'র খাঁজ থেকে খ'সে পড়েছে “
৩৩