পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 আমি বললুম, “তুমি কি ক'রে জানলে যে ওটা আমাদেরই কারুর জুতো থেকে খ'সে পড়েনি?”

 —“দুটি কারণে। প্রথমত, আজ সকাল থেকে সহরের পথ-ঘাট শুক্‌‌নো খট্‌‌খটে। এ ঘরে যারা ঢুকেছে তাঁদের কারুকেই কর্দ্দমাক্ত পথ দিয়ে হাঁটতে হয়নি। দ্বিতীয়ত, আমি খালি-চোখেই যতদূর দেখছি, এই কাদার ভেতরে কিঞ্চিৎ নূতনত্ব আছে।”

 সতীশবাবু বললেন, “খুনীদের একজনের পায়ে ছিল রবারের জুতো। তার গোড়ালি, সমতল, সুতরাং এ-রকম কাদার তাল জমবার উপায় নেই।”

 -“ঠিক। অতএব এটি সংলগ্ন ছিল অন্য খুনীর জুতোর সঙ্গে একে আমি এখন সযত্নে পকেটস্থ করলুম, বাড়ীতে গিয়ে অণুবীক্ষণ দিয়ে পরীক্ষা করব।...... সতীশবাবু, একবার বিনোদলালের সঙ্গে দেখা করবার সুবিধা হবে কি?”

 —“নিশ্চয়ই হবে!” সতীশবাবুর হুকুমে তখনি একজন লোক বিনোদলালকে খবর দিতে গেল।

 খানিক পরে একটি যুবক ভীত হরিণের মত চারিদিকে তাকাতে তাকাতে অত্যন্ত জড়োসড়ো হয়ে ঘরের ভিতরে এসে ঢুকল। ফর্সা রং, ছিপ্‌ছিপে দেহ, মুখ-চোখ সুন্দর। যুবকটি যে খুব সৌখীন দেখলেই তা বোঝা যায়। কিন্তু তার মাথার কেয়ারি-করা চুল আজ স্নান ও চিরুণির অভাবে এলোমেলো, চাকচিক্যহীন। পরোনে দামী রেশ্‌মী জামা

৩৪