পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পানীয় নয়। যে-জিনিষে পশুর রুচি নেই, মানুষ যদি তা খায়, তাহ'লে তাকে কি পশুরও অধম বলব না? আর একটা কথা মনে রাখবেন। কোন ভদ্রলোকেরই মিথ্যাকথা বলা উচিত নয়, মদ খাওয়া যে পাপ আপনিও তা জানেন ৷ তাই সেই পাপ লুকোবার জন্যেই মিথ্যেকথা বলেছিলেন। যে-পাপ ভদ্রলোককে মিথ্যা বলতে বাধ্য করে, তার চেয়ে হীন আর কিছুই নেই এখন আপনি যান, আমি আর-কিছু জানতে চাই না।”

 দারুণ আতঙ্কে একবার হেমন্তের মুখের দিকে তাকিয়েই বিনোদলাল তাড়াতাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেল।

 সতীশবাবু বিপুল বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে বললেন, “হেমন্তবাবু! আপনি যে বিনোদকে চিন্‌‌তেন এ-কথা তো একবারও আমাকে বলেন নি!”

 হেমন্ত বললে, “চিন্‌‌তুম মানে? আজ আমি এই প্রথম বিনোদকে দেখলুম, আজ সকালেও এর নাম পর্য্যন্ত জানতুম না!”

 প্রায় হতভম্বের মত মুখ ক'রে সতীশবাবু বললেন, “তবে আপনি কেমন ক'রে বিনোদের এত গুপ্তকথা জানলেন?”

 —“খুব সহজেই! ইচ্ছে বা চেষ্টা করলে আপনিও জানতে পারতেন! বিনোদ যখন বললে যে ‘নাট্য-নিকেতন' থেকে মোটরে রাত বারোটার সময়ে বেরিয়ে বাড়ী ফিরেছে দেড়টার সময়ে, তখনি বুঝলুম সে সোজা বাড়ীতে আসেনি— কারণ ‘নাট্য-নিকেতনে'র দূরত্ব এখান থেকে এক মাইলের

৩৭