পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 একে মতিবাবুর বাড়ীর পিছন দিককার এই সরু গলিটা সাধারণতই নির্জ্জন, তার উপরে শীতার্ত্ত রাত ও এই ভয়াবহ কুজ্ঝটিকা! মনে হচ্ছে আামরা চলেছি নিস্তব্ধ এক অন্ধকাররাজ্যের ভিতর দিয়ে অন্ধের মত!

 পিছনে আবার একাধিক অদশ্য জুতোর শব্দ হ'ল ৷

 আমি সাড়া দিয়ে বললুম, “কে আসে—সাবধান! আমাদের দেহের ওপরে যেন হোঁচট্‌ খাবেন না।”

 পর-মুহূর্ত্তেই মাথার উপরে অনুভব করলুম প্রচণ্ড এক আঘাত এবং চোখের সামনে ছড়িয়ে পড়ল রাশি রাশি সমুজ্জল সর্সে-ফুল এবং তারপরেই হারিয়ে ফেললুম জ্ঞান!......

 কতক্ষণ অজ্ঞান হয়ে ছিলুম জানি না। কিন্তু জ্ঞান ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শুনলুম হেমন্তর কণ্ঠস্বর—“রবীন, রবীন!”

 — “অ্যা? কি বলছ? উঃ।”

 —“উঠে বোসো—”

 হেমন্ত আমাকে ধ'রে তুলে বসিয়ে বললে, “তোমার মাথা ফেটে গেছে। এখনি ব্যাণ্ডেজ করা দরকার! তাড়াতাড়ি আমার বাড়ীতে যেতে পারবে?”

 —“বোধহয় পারব। কিন্তু কে আমাকে আক্রমণ করলে?”

 —“এখন কোন কথা নয়, আগে বাড়ীতে চল।”

 .......নিজের বাড়ীতে ফিরে হেমন্ত আমার ক্ষতস্থানটা পরীক্ষা ক'রে বললে, “বড় বেঁচে গিয়েছ রবীন, আর-একটু হ'লেই আঘাতটা মারাত্মক হয়ে উঠত।” সে তাড়াতাড়ি

৪১