পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জল দিয়ে ক্ষতস্থানটা ধুয়ে ঔষধ প্রয়োগ ক'রে ব্যাণ্ডেজ বাঁধতে বসল ৷

 -“কিন্তু হেমন্ত, হঠাৎ আমার ওপরে গুণ্ডার আক্রমণ কেন?”

 - “গুণ্ডা নয় রবীন, হত্যাকারী!”

 -“হত্যাকারী?”

 —“হ্যা। এ হচ্ছে মতিবাবুর হত্যাকারীর কীর্ত্তি! খালি তোমাকে নয়, আমাকেও আক্রমণ করেছিল।”

 -“তুমি তাদের দেখতে পেয়েছ?”

 -“আবছায়ার মতন দেখেছি ৷ দেখলেও চিনতে পারতুম না, তারা মুখোস প’রে এসেছিল।”

 —“কিন্তু কেন?”

 —“তারা আমার পকেট থেকে সেই দস্তানাটা চুরি ক'রে পালিয়েছে।”

 বিস্মিত হয়ে ভাবতে লাগলুম। তারপর বললুম, “আমার সন্দেহ হচ্ছে, বিনোদের ওপরে। নিশ্চয় সে পাশের ঘরে লুকিয়ে ব’সে দস্তানা সম্বন্ধে তোমার মতামত শুনেছে।”

 —“তারপর তার কোন অনুচরের সঙ্গে আমাদের পিছু নিয়েছে?”

 —“হুঁ। আজকের বিদ্‌‌কুটে কুয়াশা তার পক্ষে হয়েছে একটা মস্ত সুযোগ।”

 —“দুর্য্যোগও হ'তে পারে রবীন।”

৪২