খাটো লোহার ডাণ্ডা। তারা নিশ্চয়ই আমাদের খুন করতে আসেনি, এসেছিল খালি ঐ দস্তানাটাই হাতাবার জন্যে। বোধহয় এই দস্তানা কেউ কেউ চেনে, দস্তানাটা দেখলে তারা মালিকের পরিচয় দিতে পারে। কিংবা অন্য কোন কারণও থাকতে পারে। কিন্তু সে কথা যাক্। ......একজন তোমাকে আক্রমণ করে, আর একজন আমার মাথা লক্ষ্য ক'রে ডাণ্ডা মারে, কিন্তু ফস্কে যায় ৷ সে আবার ডাণ্ডা তোলবার আগেই আমি তাকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরি এবং সঙ্গে সঙ্গে তার বুক-পকেটে অনুভব করি এই ডায়ারিখানির অস্তিত্ব। তুমি জানো রবীন, খুব বিপদেও আমার মাথা গুলিয়ে যায় ন! ৷ চোখের নিমেষ পড়বার আগেই আমি এক হাতে তাকে জড়িয়ে সাঁৎ ক'রে তার পকেটে আর এক হাত চালিয়ে ডায়ারিখানা তুলে নিলুম—কিন্তু সেই মুহূর্তে অন্য লোকটা তোমাকে ছেড়ে আমারও মাথায় মারে ডাণ্ডা, আমিও মাটীর ওপরে প'ড়ে যাই ৷ আমার মাথা ফাটেনি বটে, কিন্তু আচ্ছন্নের মতন হয়ে গেলুম ৷ আমাকে সেই অবস্থায় পেয়ে দস্তানাটা নিয়ে তারা স'রে পড়ে। আমি যে পকেট মেরেছি এটা নিশ্চয়ই তারা জানতে পারেনি!”
—“চোরের ওপরে আচ্ছা বাট্পাড়ি করেছ বটে।... কিন্তু হেমন্ত, ডায়ারি আর চাবির গোছা চুরি দেখে সত্যি-সত্যিই সন্দেহ হয় যে, বাড়ীর ভেতরের কোন লোকই মতিবাবুকে খুন করেছে। হ্যাঁ, সন্দেহ কেন, একরকম নিশ্চিত ভাবেই এ-কথা বলা যায়। বাইরের লোক খুন আর টাকা চুরি ক'রেই তুষ্ট
৪৪