হ'ত—পরে মতিবাবুর চাবির গোছা আর ডায়ারি কোন কাজেই লাগাতে পারত না।”
ডায়ারির পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে হেমস্ত অন্যমনস্ক ভাবে বললে, “হ্যাঁ, সতিশবাবুরও ঐ মত।”
মিনিট পাঁচ-ছয় হেমন্ত ডায়ারি থেকে আর মুখ তুললে না। তারপর হঠাৎ উৎসাহিত কণ্ঠে বললে, “পেয়েছি রবীন, ডায়ারি চুরির কারণ পেয়েছি! এই পাতাখানা ছাড়া ডায়ারির অন্য কোথাও আমাদের পক্ষে বিশেষ কোন দরকারি কথা নেই। শোনো—” ব'লেই পড়তে লাগলঃ
“আমার শোবার ঘরের বড় টেবিলের ডানদিকের টানার পিছনের কাঠে একটি গুপ্তস্থান আছে। বাঁ-কোণের শেষপ্রান্তে খুব ছোট একটি স্প্রিং আছে। সেটি টিপ্লেই গুপ্ত স্থানটি বেরিয়ে পড়বে। ওর মধ্যে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকার হীরা, চুণী, পান্না আর মুক্তা আছে ৷ বৃদ্ধ হয়েছি, স্বাস্থ্য দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে, হঠাৎ যদি মারা পড়ি সেই ভয়ে আমার উত্তরাধিকারীর জন্যে এখানে এই কথাগুলি লিখে রাখলুম।”
—“রবীন, খুনী জানত যে, ডায়ারির মধ্যে এই গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যাবে!”
আমি দৃঢ় স্বরে বললুম, “তাহ'লে এই খুনী নিশ্চয়ই বাড়ীর ভিতরের লোক! এইজন্যেই সে চাবি চুরি করেছে! কাল তাড়াতাড়িতে ডায়ারি পড়তে পারে নি, খুব শীঘ্রই সে কাজ হাঁসিল করবে!”
৪৫