—“করবে নাকি? দেখা যাক্!” ব'লেই হেমন্ত উঠে ‘টেলিফোনে’র ‘রিসিভার’ তুলে নিয়ে থানার নম্বর বললে।
-“কে? সতীশবাবু? থানায় ফিরে এসেছেন? হ্যাঁ, আমি হেমন্ত। শুনুন। মতিবাবুর দেহ শব-ব্যবচ্ছেদাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন তো? বেশ। তাঁর শোবার ঘর বন্ধ আছে? উত্তম। কিন্তু একটা জরুরি কথা মনে রাখবেন। ও ঘরের দরজার সামনে সর্ববদাই যেন পাহারা রাখা হয়—কেউ যেন কোন কারণেই ও-ঘরে ঢুকতে না পায়। কেন? কারণ নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু এখনো প্রকাশ করবার সময় হয় নি। রাগ করবেন না, যথাসময়ে সমস্তই বলব।
.....বলেন কি? যে কনস্টেবল ভাঙা কাঁচের গেলাস নিয়ে একলা আসছিল, হঠাৎ পথে কারা তাকে আক্রমণ করেছে? তারপর? গেলাসটা ছিনিয়ে নিতে পারে নি শুনে সুখী হলুম। কনেষ্টবল কারুকে চিনতে পারে নি? হ্যাঁ, কলকাতার আজকের কুয়াশাটা আশ্চর্য্যই বটে! অভূতপূর্ব্ব! কি বললেন? মিনিট দুয়েক আগেই গলির মোড়ের কাছে কনষ্টেবল আর-এক পথিকের গায়ের ওপরে গিয়ে পড়ে? কে সে? বিনোদ? অত কুয়াশায় ওখানে সে কি করছিল? মাথা ধরেছে ব'লে বেড়াতে বেরিয়েছিল? এই বিশ্রী কুয়াশায়? আশ্চর্য্য ওজর তো! তাকে গ্রেপ্তার করবেন কিনা ভাবছেন? আপনার কর্ত্তব্য আপনিই ভালো বোঝেন, আমি আর কি বলব? এ-পথে আমি শিক্ষানবিস ছাড়া তো আর কিছুই
৪৬