পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নই!.........হ্যাঁ, আমার কাছেও একটা নতুন খবর আছে। আমাকে আর রবীনকেও আজ কারা আক্রমণ করেছিল। রবীনের মাথা ফেটে গেছে। বেচারী। আমার খুব বেশী লাগে নি বটে, কিন্তু সেই দস্তানাটা লুট হয়ে গেছে—কনষ্টেবলের মত আমার ভাগ্য ভালো নয়। না, চিনতে পারি নি। একে কুয়াশা, তার ওপরে উপন্যাসের দুরাত্মাদের মত তারা মুখোস প’রে এসেছিল। না, না, এত রাতে আমাদের আর দেখতে আসতে হবে না, আমরা ভালোই আছি। আচ্ছা, নমস্কার।” আমার দিকে ফিরে সে বললে, “রবীন, সব শুনলে তো?”

 অভিভূত কণ্ঠে বললুম, “ভাই হেমন্ত, এ যে আমরা সাংঘাতিক লোকের পাল্লায় পড়েছি! কাল খুন, আশী হাজার টাকা চুরি, আজ আমাদের আর কনস্টেবলকে আক্রমণ! আমি ভাই কালিকলম নিয়ে নাড়াচাড়া করি, এত গোলমাল আমার ধাতে সহ্য হবে না তো!”

 হেমন্ত বললে, “হুঁ, আমিও জানতুম বটতলার ডিটেক্‌‌টিভ নভেলেই এমন সব হৈ-হৈ কাণ্ড ঘটতে পারে!.... কিন্তু রবীন, বুঝতে পারছ কি, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণগুলো সরাবার জন্যে খুনীরা কি-রকম মরিয়া হয়ে উঠেছে? উপন্যাসকেও সত্য ক'রে তুলতে চাইছে? কিন্তু কে তারা—কে তারা? কিছুই ধরতে পারছি না যে!”

 আমি বললুম, “আচ্ছা, সতীশবাবুর কাছে তুমি একটা কথা ভাঙলে না কেন?”

৪৭