দুষ্টুমি ভরা হাসি হাসতে হাসতে হেমন্ত বললে, “কি কথা?"
-“মতিবাবুর ডায়ারির কথা?”
হেমন্ত হঠাৎ গম্ভীর হয়ে বললে, “রবীন, আমার এ লুকোচুরি মার্জ্জনীয়। সত্যি কথা বলতে কি, এইটেই হবে আমার জীবনের প্রথম উল্লেখযোগ্য ‘কেস'। পুলিসের কাছে এর সমস্ত বাহাদুরিটা আমি একলাই অর্জ্জন করতে চাই। আমার দৃঢ়-বিশ্বাস, আমি এ মামলাটার কিনারা করতে পারব। অবশ্য তারপরে আমি স'রে দাঁড়ার যবনিকার অন্তরালে—জনসাধারণের কাছ থেকে পুলিসকে ষোলো আনা সুখ্যাতি আদায় করবার অবসর দিয়ে।”
-“কিন্তু এ আগুন নিয়ে খেলা হচ্ছে, আমাদের প্রাণ যেতেও পারে।"
—“দেহের ভিতর থেকে এত-চট্পট্ প্রাণবায়ু যাতে বহির্গত না হয় সে-চেষ্টার ত্রুটি আমি করব না। কিন্তু কি আশ্চর্যা, আমি যে একটা মস্তবড় কথা ভুলে গিয়েছি রবীন!” ব'লেই হেমন্ত টপ্ ক'রে দাঁড়িয়ে উঠে নিজের পকেটের ভিতরে হাত চালিয়ে দিলে।
—“কি খুঁজছ তুমি?”
—“এইটে ৷” হেমন্ত বার করলে সেই কাগজের মোড়কটা —যার ভিতরে সে পূরে রেখেছিল খুনীর জুতো-থেকে-খসা খানিকটা শুক্নো কাদা ৷
৪৮