কিছুদূর এগিয়েই দশ নম্বরের বাড়ী পাওয়া গেল। দ্বারবানের উপরে বোধহয় আদেশ ছিল, আমাদের নাম শুনে সে দোতালায় যেতে অনুরোধ করলে।
মিঃ দত্ত তাঁর দোতালার বৈঠকখানায় ব'সে সত্য সত্যই আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। দেখলুম, সতীশবাবু আমাদের আগেই সেখানে এসে হাজির হয়েছেন।
মিঃ দত্ত তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে বললেন, “হেমন্তবাবু, রবীনবাবু! কাল আপনারা কি সাংঘাতিক বিপদে পড়েছিলেন সতীশবাবুর মুখে তা শুনে স্তম্ভিত হয়েছি! রবীনবাবুর মাথায় এখনো ব্যাণ্ডেজ বাঁধা রয়েছে যে! নিশ্চয় ওঁর খুব লেগেছে?”
আমি বললুম, “লাগেনি বললে মিথ্যা বলা হবে। মধু খেলে মিষ্টি লাগে, ভাণ্ডা খেলে কষ্ট পেতে হয় ৷ প্রকৃতির এই স্বাভাবিক নিয়ম।”
মিঃ দত্ত বললেন, “কিন্তু কে এই পাপিষ্ঠ? অনায়াসে যে খুন করছে, ভদ্রলোককে মারাত্মক আক্রমণ করছে, অথচ এখনো মেঘনাদের মতন লুকিয়ে আছে মেঘের আড়ালে? আমার তো মশাই, বাড়ী থেকে আর বেরুতে ভয় করছে!"
সতীশবাবু বললেন, “আপনার আবার কিসের ভয়? আপনি তো পুলিসের লোক নন?”
—“আমি পুলিসের লোক নই বটে, কিন্তু বন্ধু-হত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্যে পুলিসকে তো সাহায্য করছি? খুনীদের রাগ আমার ওপরে পড়তে কতক্ষণ!”
৫৭