সতীশবাবু বললেন, “ভয় নেই মিঃ দত্ত, আমরা বোধহয় শীঘ্রই খুনীকে ধরতে পারব। আচ্ছা, একটা কথা বলতে পারেন? “
-“আজ্ঞা করুন।”
-“আজ্ঞা নয় মিঃ দত্ত, অনুরোধ। আপনি তো মতিবাবুর বন্ধু, ও-পরিবারের অনেক খবরই রাখেন। বিনোদলালবাবু কোন কোন লোকের সঙ্গে মেলামেশা করেন সে বিষয়ে আমাদের কোন খবর দিতে পারেন?”
মিঃ দত্ত বিরক্ত ভাবে মাথা নেড়ে বললেন, “বিনোদের বন্ধুদের কথা আমাকে আর জিজ্ঞাসা করবেন না!”
— “কেন বলুন দেখি?”
-“তারা লোক ভালো নয়। তাদের বিশেষ পরিচয় আমি জানিনা বটে, তবে কানাঘুসোয় শুনেছি, বন্ধুদের চেষ্টাতেই বিনোদের পরকাল ঝর্ঝরে হয়ে যাচ্ছে। বন্ধুরা চেষ্টা করবে না কেন? মামার মৃত্যুর পরে বিনোদ হবে অগাধ সম্পত্তির মালিক, তারপরেই তো তাদের পোয়াবারো। কিন্তু যেতে দিন মশাই, ও-কথা যেতে দিন!”
হেমন্ত বললে, “সতীশবাবু, শব-ব্যবচ্ছেদাগারের খবর কি?”
—“মতিবাবুর পাকস্থলীতে কোনরকম বিষের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি, যদিও ডাক্তারদের আগে সেই সন্দেহই হয়েছিল। মতিবাবুকে কেউ গলা টিপে মেরে ফেলেছে কিনা, ডাক্তাররা জোর ক'রে সে কথাও বলতে পারছেন না, তবে
৫৮