পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তাঁরা স্বীকার করেছেন যে, ওটা মৃত্যুর কারণ হলেও হ'তে পারে। মতিবাবুর কণ্ঠের প্রত্যেক রক্তবহা নাড়িতে অতিশয় রক্তাধিক্যের লক্ষণ পাওয়া গেছে। নিশ্চয়ই বিষম জোরে তাঁর গলা টিপে ধরা হয়েছিল। ডাক্তারের রিপোর্ট তো এই, আপনার রিপোর্ট কি হেমন্তবাবু?”

 -“আমার রিপোর্ট? আপাতত আমার কাছে রিপোর্ট করবার মতন কোন তথ্যই নেই ৷”

 আমি উপহাসের স্বরে বললুম, “কেন হেমন্ত, তুমি তো অনায়াসেই তোমার সেই মহামূল্যবান শুক্‌‌নো কর্দ্দম-চূর্ণের কাহিনী বলতে পারো?”

 সতীশবাবু আগ্রহ-ভরে বললেন, “দোহাই হেমন্তবাবু, আপনার এই কর্দ্দম-চূর্ণের কাহিনী থেকে আমাদের বঞ্চিত কররেন না!”

 আমার দিকে একবার রেগে কট্‌‌‌মট্ ক'রে তাকিয়ে হেমন্ত বললে, “না সতীশবাবু, শোনেন কেন, এ-সব বিষয়ে আমার বন্ধুটি হচ্ছে পয়লা নম্বরের অপদার্থ। যে-ধূলোকে আমরা রাখি পায়ের তলায়, আধুনিক অপরাধ-বিজ্ঞানে তার স্থান যে কত উপরে, মূর্খ রবীন সে কথা জানে না।”

 মিঃ দত্ত কৌতূহলী কণ্ঠে বললেন, “হেমন্তবাবু, এ-সব বিষয়ে আমিও কম-কাঁচা নই ৷ আপনার মুখে একটুখানি ধূলোর ইতিহাস শুনতে চাই। ততক্ষণ বেয়ারারাও চা-টা নিয়ে আসবে!”

৫৯