পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করেছেন, নিয়মিত ভাবে ব্যবহৃত ট্যাঁকঘড়ী বা হাতঘড়ীর ভিতরে যে ধূলো জমে তার সাহায্যে খুব সহজেই ব'লে দেওয়া চলে কোন্ শ্রেণীর লোক হচ্ছে ঘড়ির মালিক! এইবারে একটা সত্য গল্প বলি:

 “বিলাতের এক পাড়াগাঁয়ে একবার একটি স্ত্রীলোককে কে খুন ক'রে পালায়। স্ত্রীলোকটির দেহে ছুরির আঘাত ছিল বটে, কিন্তু সে আঘাতই তার মৃত্যুর কারণ নয়। লাল ও নীল রেশমী সূতোর পাকানো দড়ীর ফাঁশ তার গলায় লাগিয়ে কেউ তাকে হত্যা ক'রে পথের ধারে ফেলে পালিয়ে গেছে।

 “পুলিস দস্তুরমত বৈজ্ঞানিক প্রথায় তদন্ত সুরু করলে। হত স্ত্রীলোকটির পোষাকে পাওয়া গেল তামাকের ধূলো অর্থাৎ নস্য। তার জামা-কাপড়ের কোন কোন জায়গায় কয়লার গুঁড়োও দেখা গেল। তারও ওপরে আবিষ্কৃত হ'ল অভ্র, silicate of calcium আর magnesium প্রভৃতি খনিজ পদার্থের ধূলো।

 “কিছুদিন পরে পুলিস সন্দেহ-ক্রমে একটা লোককে গ্রেপ্তার করলে। অণুবীক্ষণ দিয়ে তার আঙুলের নখে ফাঁকে দেখা গেল ঐ সব অভ্র, কয়লা আর অন্যান্য খনিজ পদার্থের অতি-সূক্ষ্ম ধূলো এবং—সব-চেয়ে যা সন্দেহজনক—লাল-নীল রেশমী সূতোর টুকরো! জানা গেল সে নস্য নেয়। তার পকেটে একখানা ছুরি ছিল তাতেও রয়েছে অস্পষ্ট রক্তের ছাপ।

 “আসামী বললে সে গ্যাসের কারখানায় আর খনিতে ঠিকে

৬২