কাজ করে। সে কারখানা আর খনির ঠিকানাও দিলে। কিন্তু তার নখের ফাঁকে যে-সব খনিজ পদার্থের ধূলো ছিল, তার দেওয়া কারখানা আর খনিতে গিয়ে সে-রকম ধূলো পাওয়া গেল না। কিন্তু যে গাঁয়ে নারীহত্যা হয়েছে, সেখানকার ধূলোয় মিশ্রিত খনিজ পদার্থের গুঁড়োর সঙ্গে আসামীর নখের ধূলো হুবহু মিলে গেল ৷ তখন আসামী বাধ্য হয়ে অপরাধ স্বীকার করলে।
“ভেবে দেখুন, পুলিস যদি অণুবীক্ষণের সাহায্য গ্রহণ না করত, তাহ'লে হত স্ত্রীলোকটির পোষাক আর হত্যাকারীর নখের ফাঁক থেকে কিছুই আবিষ্কার করতে পারত না, কারণ যে-সব ধূলিকণা পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো কিছুতেই ধরা পড়ত না সাধারণ দৃষ্টিতে।
“আমিও এই পদ্ধতিতেই কাজ করবার চেষ্টা করি। মতিবাবুর লাসের পাশে যে দস্তানাটা আমরা পেয়েছিলুম, সেটা খোয়া না গেলে আমিও হয়তো তার ভিতরকার ধূলো পরীক্ষা ক'রে অনায়াসেই বলতে পারতুম, দস্তানার মালিকের পেশা কি এবং দস্তানার ভিতরে ছিল কোন্ শ্রেণীর ধূলো! আশা করি আমার বক্তব্য আপনারা বুঝতে পেরেছেন, আর আমার বলবার কিছু নেই।”
সতীশবাবু বললেন, “হেমন্তবাবু, সেই শুক্নো কাদার গুঁড়ে! তো আপনি পরীক্ষা করেছেন ব'লে শুনছি, তার মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু বিশেষত্ব আবিষ্কার করতে পেরেছেন?”
৬৩