পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নেই—বিশেষ বৈজ্ঞানিক ব্যাপারে! আমার লেক্‌চার তো শুনলেন, এইবারে রসায়ন-শাস্ত্র সম্বন্ধে আপনি কিছু বলুন।”

 —“আপনাকে নতুন কথা শোনাবার শক্তি আমার আছে ব'লে মনে হয় না। বড় জোর আমার রসায়নাগারটি আপনার মত গুণীকে দেখিয়ে ধন্য হ'তে পারি। চা খাওয়া হয়েছে? আসুন!”

 মিঃ দত্তের সঙ্গে আমরা তিনজনেই পাশের ঘরে গিয়ে ঢুক্‌‌লুম ৷ আমি এই রসায়নাগারের মধ্যে বিশেষ কোন নূতনত্ব পেলুম না, কারণ হেমন্তের পরীক্ষাগারের সাজসজ্জার সঙ্গে এরও মিল আছে অনেকটা। সেই শিশি, বোতল, জার অণুবীক্ষণ, কাঁচের মাপজোপের গেলাস ও বকযন্ত্র প্রভৃতি! তবে এই রসায়নাগারের জন্যে মিঃ দত্ত হেমন্তের চেয়ে ঢের বেশী টাকা খরচ করেছেন সেটা বুঝতে দেরি লাগে না ৷

 আমি রসায়ন-রসে বঞ্চিত, কাজেই এ ঘরের যথার্থ মর্যাদা হয়তো বুঝতে পারলুম না। সতীশবাবুরও অবস্থা। বোধহয় আমারই মত, কারণ বোকা বনবার ভয়ে তিনি একেবারে বোবা হয়ে গেলেন। কিন্তু সমঝদার হেমন্ত কৌতূহলে বালকের মতন চঞ্চল হয়ে উঠল। বিপুল আগ্রহে একবার এটা, একবার ওটা পরখ করে এবং প্রশ্নের পর প্রশ্নে মিঃ দত্তকে যেন আছন্ন ক'রে দেয়।

 —“ওটাতে কি আছে মিঃ দত্ত?”

 মিঃ দত্ত হয়তো আমাদের পক্ষে দুর্ব্বোধ ও অদ্ভুত এক

৬৫