মার বাক্যে মাতা কিছু আহার করিয়া।
যজ্ঞ দেখিবারে গেল সত্বরা হইয়া॥
কৃষ্ণবর্ণা দেখি সতী দক্ষ কোপে জ্বলে।
শিবনিন্দা করিয়া সভার আগে বলে॥
ভারত শিবের নিন্দা কেমনে বর্ণিবে।
নিন্দাছলে স্তুতি করি শঙ্কর বুঝিবে॥
শিবনিন্দায় সতীর দেহত্যাগ।
সভাজন শুন জামাতার গুণ বয়সে বাপের বড়।
কোন গুণ নাই যেথা সেথা ঠাই সিদ্ধিতে নিপুণ দড়॥
মান অপমান সুস্থান কুস্থান অজ্ঞান জ্ঞান সমান।
নাহি জানে ধর্ম্ম নাহি মানে কর্ম্ম চন্দনে ভস্মজ্ঞেয়ান॥
যবনে ব্রাহ্মণে কুক্কুরে আপনে শ্মশানে স্বরগে সম।
গরল খাইল তবু না মরিল ভাঙ্গড়ের নাহি যম॥
সুখে দুঃখ জানে দুঃখে সুখ মনে পরলােকে নাহি ভয়
কি জাতি কে জানে কারে নাহি মানে সদা কদাচারময়॥
কহিতে ব্রাহ্মণ কি আছে লক্ষণ বেদাচারবহিষ্কৃত।
ক্ষত্ত্রিয়কথন না হয় ঘটন জটা ভস্ম আদি ধৃত॥
যদি বৈশ্য হয় চাসি কেন নয় নাহি কোন ব্যবসায়।
শূদ্র বলে কেবা দ্বিজ দেয় সেবা নাগের পৈতা গলায়॥
গৃহী বলা দায় ভিক্ষা মাগি খায় না করে অতিথিসেবা।
সতী ঝি আমার গৃহিণী তাহার সন্ন্যাসি বলিবে কেবা॥
বনস্থ বলিতে নাহি লয় চিতে কৈলাস নামেতে ঘর!
ডাকিনীবিহারী নহে ব্রহ্মচারী এ কি মহাপাপ হর॥