পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪ অন, দি ভলগা ‘আমার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে ও আমার বিরক্তি ধরিয়ে দিয়েছে। অন্যের সঙ্গে একটা কথা বলতে গেলেও ওর মনে ব্যথা লাগে। এ নিতান্তই অসহ আমার পক্ষে। আমায় কেউ শাসন করবে এ আমি মেনে নিতে রাজি নই। ‘প্রকৃত ভালবাসার ক্ষেত্রে অন্যের ইচ্ছার কাছে নিজেদের বিলিয়ে দেওয়া এমন কিছুই কঠিন নয়!'—সরল মেয়েটি বলল। কথাটা শেষ হতেই হঠাৎ তার মনে হল হত সবাই ভাবছে—তােমর দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না কি না তাই যে-কারো কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারলেই তুমি খুশি। কথাটা মনে হতেই লজ্জায় সে আবার অপ্রতিভ হয়ে পড়া। ‘চুলোয় যাক তোমার দর্শন।'----লেন। বলল –‘শ্যামি চাই উজ্জ্বল শান। ভিক্টর চলে যাওয়ার পরেই ঘরের আবহাওয়ায় একটা পরিবর্তন নেমে এল। লেনার উজ্জ্বল আনন্দেও আগের সে অস্থা আর হির এল না। ভিক্টর চলে যাবার সময় অনেকেই তার চোখে এক অদ্ভুত দৃষ্টি লক্ষ্য করেছে। এমন কি নােকেও শেষ পর্যন্ত জোর করে আনন্দের ভান করতে হচ্ছিল। এই ঘটনায় তার মনে যে কোন দাগ গ-ি এ প্রমাণ করতে আনন্দে উচ্ছল না যে তার উপায় ছিল না। মনের বিধ্বস্ত অবস্থাটাকে হাসির আবরণে ঢেকে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করছিল সে। দুটো বাজতেই সবাই উঠতে শুরু করল। এবার পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নেবার পালা। করিডরে ঠেলাঠেলি—ভিড়। গ্রহলস্কির ঠাট্টা বিদ্রুপ। প্রতিবেশীদের ঘুমের ব্যাঘাত হয় পাছে তাই সবার মুখের হাসিই চাপা। একটু পরেই তারা পথে নেমে এল। পশমের জ্যাকেটটা গায়ে জড়িয়ে লেনাও খানিকটা এগিয়ে গেল