পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

32 আবার সেই একঘেয়ে নিঃসঙ্গ জীবন । নাগরিক জীবনের কোলাহল সত্যি ভারি বিশ্রী। মাঝে মাঝে মন হঁাপিয়ে ওঠে। সীমাহীন মানুষের মধ্য থেকে এই বনের ধারে এসে তৃপ্তি পাই। বনের পিছনে অনেকটা জমি ফাকা । ওখানে সাদা চিমনি মাথায় করে। মস্ত একটা পুরনো বাড়ী । ওর জানালার নীচে বার্চ গাছের শাখা মাথা তুলতে শুরু করেছে। পাইন গাছের মৃদু মর্মর ওকে ঘিরে কেবলই উপচে ওঠে। ওর পিছন দিয়ে একটা পায়ে চলার পথ, বনের মধ্যে, কোথায় যেন পথ হারিয়েছে। মানুষের সাড়া শব্দ নেই। এমনি ধারা একটা জায়গার প্রয়োজনীয়তাই আজ আমাকে নিবিড়করে পেয়ে বসেছিল। তাই এর অস্তিত্বে মন আমার তৃপ্তিতে ভরে উঠেছে। মন যখনই স্থাপিয়ে ওঠে-তখনই চাই তার এমনিধারা একটু আশ্রয়, মনকে সজীব করে তুলতে। ওরা আমাকে খুব নিবিড়ভাবেই গ্রহণ করেছে। অতিথির উপর ওদের যেন আর দরদের অন্ত নেই। আমার মধ্য দিয়ে কি এক পরিবর্তনের আভাস নাকি ফুটে উঠেছে। আমি যেন আর আগের মানুষ নই। অন্ততঃ এই ওদের মত। কোন একটা বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করে ওরা আমায় প্রশ্ন করে । এমনি ধারা প্রশ্ন সত্যি ভারি fি.3ী। ওদের দৃষ্টি এড়াতে জানালার পাশে এসে দাড়াই। মুখ থেকে বেরিয়ে আসে-যেমন ছিলাম আজও ঠিক তেমনি আছি-পরিবর্তন যা একটু হয়েছে তা দুদিনেই কেটে যাবে। পত্রহীন বার্চ গাছের মাথায় সোনালীর আমেজ রেখে বসন্তের সুর্য অন্ত