পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন দি ভলগা (S তিনি নিবিড় ভাবেই গ্রহণ করতেন। অথচ প্রেমে পড়ে রেজিষ্টারি আপিসে গিয়ে তারা বিয়ে করেছে। এই নিয়মই ত চলছে।” তার এই ধরনের কথা শুনে অন্তর আমার তার উপর বিরক্তিতে ভরে উঠল। ভেবেছিলাম আমার উপর হয়ত তার খানিকটা আসক্তি আছে। কতদিন আমার একটুখানি দৃষ্টি লাভের জন্য সে আকুল আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অন্য ছাত্রীদের ভিড়ে মিশে থাকলেও সে আমাকে রেহাই দিতে চায় নি। আর আজ বসন্তের এই মন্দির সন্ধ্যাট। এমন নোংরা আর জঘন্য চিন্তা দিয়ে সে কলঙ্কিত করল । ছোট ছোট মধুর কথা আর কোমল অনুভূতির মধ্যে মানুষ যখন চায় নিজেকে ভুলে থাকতে সে তখন সেই মুহূর্তটাকে মলিন করে দিল কামনার স্থূল অনুভূতি দিয়ে। তার উপর সেই মূহুর্তে মন আমার ঘূণায় বিষিয়ে উঠল। আমরা তখন একটা বেঞ্চের পাশ ঘেষে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম একটি মহিলা বেঞ্চটার উপর বসে আছে। তার পরনে সিস্কের মোজা,-পা দুটো হাঁটুর কাছে আড়াআড়ি ভাবে সংবদ্ধ। যে কেউ সামনে দিয়ে যাচ্ছে তার দিকেই চোখ তুলে তাকাচ্ছিল সে। আমার সঙ্গীটি সেই মহিলাটির দিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে রইল। কিছুদূর এগিয়ে গিয়েও সে আবার তার দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল। আমার মনে হচ্ছিল তখন কেউ যেন আমাকে চাবুক মারছে। ‘চল ঐখানটায় বসা যাক।” পরের বেঞ্চটার কাছে এসে সে বলল । | সেখানে বসার অর্থ মহিলাটির দিকে তাকিয়ে থাকবার সুযোগ পাবে সে ብሻዥiaff Cqርቕ ! হঠাৎ সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল আমার মধ্যে। মনে হল হয়ত বা চীৎকার করে কেঁদে উঠৰ। পাছে আর সহ্য করতে না পারি। |उारे তার সঙ্গে আর বেশীক্ষণ থাকা সম্ভব নয় জানিয়ে বিদায় নিলাম।