পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अन नेि उब्लो। ○○ তিরুণতরুণীর ভিড সেখানে। খাটো করে ছাটা গাছ-লাইলাকের ঝোপ আর ছায়ায় ঢাকা বাগানের বেঞ্চগুলোর উপর অগণিত প্রেমিক-যুগল। হাস্কা কথা আর হাসির টুকরো টুকরো গুঞ্জনধ্বনি। জ্বলন্ত সিগারেটের প্রান্তগুলি ঝিকমিক ক’রে জলছে। রাত্রির মধুর উত্তাপে সবারই মন নেশায় ভরপুর। এর একটা মুহুর্ত ও কেউ বৃথা নিস্ফল হতে দিতে রাজি নয়। কিন্তু এমন রাতে তোমার অন্তরের বীণা যখন সুপ্ত,-সঙ্গীহীন জীবনে একান্তই নিঃসঙ্গ তুমি, তখন যে বেদনা জেগে ওঠে তোমার বুকে, কোন ‘বেদন দিয়েই তার পরিমাপ হয না । এক মুহুর্ত আগেও আমি উদাসীন ছিলাম। সে সঙ্গে আছে কি নেই খেয়াল ও করিনি। কিন্তু বেঞ্চে উপবিষ্ট সেই মহিলার প্রতি তার উৎসুক দৃষ্টি আমাকে পেযে বসল। হঠাৎ মনটা কেমন যেন করুণ হয়ে উঠেছে অনুভব করলাম। ভারি দুর্বল মনে হচ্ছিল নিজেকে। তার সান্নিধ্য ছাড়া জগতে তখন আর আমার কিছুই কাম্য নেই। আমায় অভিশাপ দিও না বন্ধু। বসন্তের এই উৎসবময়ী রাত্রিতে সঙ্গীহীন আমি বন্ধুর সন্নিধ্য থেকে দূরে দূরে ঘুরে বেড়াব এ আমার পক্ষে ७ामश् । এর পরে কে কি ভাববে কিছুই চিন্তা করিনি। শুধু মনে পড়ে তখনি তাড়াতাড়ি তার বাসার দিকে পা বাড়ালাম । একটিমাত্র কথা ছাড়া তখন আর কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। হয়ত সে বাড়ী নেই,-দেরি করে ফেলেছি হয়ত বা অনেকটা, হয়ত বা এই ভুলের জন্য একলাই কাটাতে হবে আমাকে । তার চরিত্রের ভাল দিকটা না দেখেই আমন হাস্যকর ভাবে পালিয়ে এসেছি বলে নিজেকেই তখন ধিক্কার দিচ্ছিলাম।