পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন দি ভলগা ¢ዓ আমার হাতও কঁপিছে অনুভব করলাম। উত্তেজনায় বুক, এমন তোলপাড় করছিল যে চোখের সামনে সব কিছু অন্ধকার দেখছিলাম। আমার মনে তখন সমস্যার তুফান দুলছে। একদিকে :-নিজেকে বিকিয়ে দেওয়ার চিন্তা-অন্যের উপস্থিতিতে বাধা না পাওয়ার অনুভূতি ; আর অন্যদিকে :-চোরের মতো ফিসফিস কথা, লোভী ত্রস্ততা-তার অসংযম ও ধৈর্যহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আকাজক্ষা। কিন্তু তার মনে তখন একটিমাত্র চিন্তা। কোন বন্ধুর আবির্ভাবের আগেই তাড়াতাড়ি সে সব কিছু শেষ করতে চায়। আমার তরফ থেকে সামান্য একটু বাধাদানের প্রচেষ্টাতেও বিরক্তি ও অধৈর্যে তার মন ভরে উঠেছিল। আমরা মেয়েরা অবাধ-প্রেমের ক্ষেত্রেও প্রকৃত ঘটনার দিকে সোজা ভাবে তাকিযে দেখতে অক্ষম । আমাদের কাছে সত্য উদঘাটিত হয় সব সময়েই অধ্যায়ের শেষ ভাগে । প্রথম দিকে আমরা কেবল মুগ্ধ হই। মানুষের মন, প্রতিভা, হৃদয়, তার কোমলতা সব কিছু আমাদের মুগ্ধ করে। “আমরা সব সময়ই প্রথমে যা চাই তা দৈহিক মিলন নয়-অন্য কিছু । এই অন্য কিছুর আকাজক্ষা যখন অপরিতৃপ্ত থেকে যায় তখন মেয়েরা অভিভূত হয়ে পড়ে তাদের ইন্দ্রিয়ের ক্ষণিক অনুভূতিতে। তখন তাদের অভিজ্ঞতায় যা ধরা পড়ে তা পূর্ণতা বা আনন্দ নয়, নিছক বিরক্তি ও অতৃপ্তি। তখন তাদের সমস্ত বিদ্বেষ গিয়ে পড়ে সেই মানুষটির উপর তাদের মতে যে তাদের এই ঘূণ্য ও অতৃপ্তিকর প্রত্যক্ষতার মধ্যে টেনে এনেছে। বিশৃঙ্খল নোংরা বিছানা, জানালার প।(শকার ডিমের খোলা,-তার ংযত লোভী দৃষ্টি -যে রকম ভাবে ব্যাপারটা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত তা না হওয়ার অনুভূতি, এই সব কিছু মিলে আমাকে ইতিমধ্যেই নিরুৎসাহ করে ফেলেছিল।