পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSR অপরাজিত টানিতেছেন ! অপকে বার-দাই জিজ্ঞাসা করিয়াছেন-বাবা তোমার ঘােম লাগে নি। ७ा ?’(काम९3 कष् ३श उा वाला दादा ! অপৰ শনিয়া চেৈিখর জল রাখিতে পারে নাই । সনীল সিগারেট কেসটো তাহার জিহুমায় রাখিয়া জলে নামিলে সে ঘাটের ধাপের উপর বসিয়া রহিল । অন্ধকার আকাশে অসংখ্য জলজৰলে নক্ষত্র, রাত্রিশেষের আকাশে উক্তজবল সপ্তষিমন্ডল ওপারে জেসপ কোম্পানীর কারখানার মাথায় বাকিয়া পড়িতেছে, পােব-আকাশে চিত্রা প্রত্যাসন্ন দিবালোকের ম.ে মিলাইয়া যাইতেছে। অঁপ মনের মধ্যে কোনও শোক কি দঃখের ভাব খাজিয়া পাইল না-কিন্তু মাত্র তিনদিন আগে কোম্পানীর বাগানে বসিয়া যেমন আনিলের সঙ্গে গল্প করিয়াছিল, সারা আকাশের অসংখ্য নক্ষত্রেরাজির দিকে চাহিয়া বাল্যে নদীর পারে বসিয়া সন্ধ্যার প্রথম নক্ষত্রটি দেখিবার দিনগলির মত এক অপবর্ণ, অবশনীয় রহস্যের ভাবে তাহার মন পরিপািণ হইয়া গেল-কেমন মনে হইতে লাগিল, কি একটা অসীম রহস্য ও বিপলতার আবেগে নিবাক নক্ষত্রজগৎটা যেন মহাতে মহতে পন্দিত হইতেছে । অনিলের মাতুত্যুর পর অপ, বড় মযড়াইয়া পড়িল । কেমন এক ধরণের অবসাদ শরীরে ও মনে আশ্রয় করিয়াছে, কোন কাজে উৎসাহ আসে না, হাত-পা, இத் বৈকালে ঘায়িতে ঘারিতে সে কলেজ-সেম্বকায়ারের একখানা বেণ্ডর উপর বসিল । এতদিন তো এখানে রহিল, কিছুই স্থির হইল না, এভাবে আর কতদিন চলে ? ভাবিল, না হয় অ্যাহ্মবলেন্সে যেতাম, কলেজের অনেকে তো যাচ্ছে, কিন্তু মা কি তা যেতে দেবে ? পরে ভাবিলি-বাড়ি চলে যাই, মাসখানেক অর্ডারলি রিস্ট্রিট করা যাক । পাশে একজন দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক অনেকক্ষণ হইতে বসিয়াছিলেন । মধ্যবয়সী। লোক, চোখে চশমা, হাতের শিরাগলি দড়ির মত মোটা । তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, সাঁতারের ম্যাচ বাবে হবে জানেন ? অপ জানে না, বলিতে পারিল না । ক্রমে দ-চার কথায় আলাপ জামিল । সাঁতারেরই গল্প । কথায় কথায় প্রকাশ পাইল-তিনি ইউরোপ ও আমেরিকার বহিস্থান ঘরিয়াছেন । অপর কৌতুহল দমন করিতে না পারিয়া তাঁহার নাম জিজ্ঞাসা করিল। ভদ্রলোক বলিলেন,-আমার নাম সরেস্তুনাথ খস, মল্লিকঅনেকদিনের একটা কথা অপায় মনে পড়িয়া গেল, সে সোজা হইয়া তাঁহার মাখের দিকে চাহিল। কিছক্ষেণ চুপ করিয়া থাকিয়া বালিল-আমি আপনাকে চিনি, আপনি অনেকদিন আগে বঙ্গবাসীতে ‘বিলাত যাত্রীর চিঠি' লিখতেন । -হ্যা হ’্যা-ঠিক, সে দশ এগারো বছর আগেকার কথা-তুমি কি ক’রে জানলে ? পড়তে না কি ? -ওঃ, শািন্ধ পড়তাম না, হাঁ ক'রে বসে থাকতাম। কাগজখানার জন্যে-খতন