পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ‘মাতৃত্যুপারের দেশ”-চিররাত্রির অন্ধকারে যেখানে সাঁই সাঁই রূবে ধমকেতুর দল আগমনের পােচ্ছ দলাইয়া উড়িয়া চলে-গ্রহ ছোটে, চন্দ্রসব লাটিমের মত আপনার বেগে আপনি ঘরিয়া বেড়ায়-তুহিন শীতল ব্যোমকেশ দরে দরে দেব- লোকের মের-পবতের ফাঁকে ফাঁকে তাহারা মিটমিট করে-এই পরিপািণ মহিমার মধ্যে জন্ম লইয়া আটটা টাকা-তুচ্ছ আট টাকা৷ -“এ কোন বিচিত্র ‘‘কিসের ' श्रॉनकाका आव्र नाश्व्रभय् ? কখন বেলা পাঁচটা বাজিয়া গিয়াছিল, কখন একটু দরে একটা ফুটবল টিমের খেলা আরম্ভ হইয়া গিয়াছিল--একটা বল দম করিয়া তাহার একেবারে সামনে আসিয়া পড়াতে তাহার চমক ভাঙিল। উঠিয়া সে বলটা দহাতে ধরিয়া সজোরে একটা লাথি মারিয়া সেটাকে ধাবমান লাইন সম্যানের দিকে ছাড়িয়া দিল । একদিন পথে হঠাৎ প্রশবের সঙ্গে দেখা । দাজনেই ভারি খশী হইল । সে কলিকাতায় আসিয়া পর্যন্ত অপাকে কত জায়গায় খাজিয়াছে, প্রথমটা সন্ধান পায় নাই, পরে জানিতে পারে অপব পড়ােশানা ছাড়িয়া দিয়া কোথায় চাকুরিতে ঢুকিয়াছে। প্রণব রাজনৈতিক অপরাধে অভিযন্ত হইয়া বৎসরখানেক হাজতভোগের পর সম্প্রতি খালাস হইয়াছে, হাসিয়া বলিল, “কিছুদিন গাবণ মেন্টের অতিথি হয়ে এলম রে, এসেই তোর কত খোঁজ করেছি--তারপর, কোথায় চাকরি করিস, 3 भाईम कऊ ? অপ. হাসিমখে বলিল-খবরের কাগজের আফিসে, মাইনে সত্তর টাকা ! সর্বৈব মিথ্যা । টাকা চল্লিশোক মাইনে পায়, কি একটা ফন্ড বাবদ কিছ কাটিয়া লওয়ার পর হাতে পৌছায় তেত্রিশ টাকা ক’ আনা । একটু গবের সরে বলিল, চাকরি সোজা নয়, রয়টারের বাংলা করার ভার আমার ওপরী-বধবারের - কাগজে “অ্যাট ও ধর্ম বলে লেখাটা আমার, দেখিস পড়ে । প্রণব হো হো করিয়া হাসিন্দা উঠি:T বলিল-তুই ধমের সম্পবন্ধে লিখতে গেলি কি নিয়ে রে ; কি জানিস তুই -ওখানেই তোমার গোলমাল । ধাম মানে তুই যা বলতে চাইছিস, সেটা হচ্ছে collective ধম, আমি বলি ওটার প্রয়োজনীয়তা ছিল আদিম মানষের সমাজে, আর একটা ধম আছে, যা কিনা নিজের নিজের, আমার ধাম আমার, তোমার ধম তোমার, এইটের কথাই আমি-"যে ধম আমার নিজের তা ষে আর কারো নয়, তা আমার চেয়ে কে ভাল বোঝে ঐ --বৌবাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে ওসব কথা হবে না, আয় গোলদীঘিতে লেকচার sk -শািনবি তুই ? চল তবেগোলদীঘিতে আসিয়া দজনে একটা নির্জন কোণ বাছিয়া লইল । প্রণব বলিল --বেঞ্চের উপর দাঁড়া উঠে । অপ বলিল-দাঁড়াচ্ছি, কিন্তু লোক জমবে না তো ? তা হ’লে কিন্তু আর