পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nuo অপরাজিত --তুমি রাজাঁ কি না বলো আগে-সেখানে কিন্তু কষ্ট হবে। অপর একবার ভাবিল- সত্যি কথাটা খালিয়াই বলে। কিন্তু সেই পরাতন গাব ও বাহাদারির ঝোঁক -স্বলিল-আবিৰ্দশ্য একদিন আমাদেরও স্যই ছিল। যেখানে থাকতুমআমাদের পৈতৃক দেশ-এখন তো দোতলা মস্ত বাড়ি- মানে সবই-তবে শরিকানী মামলা আর মানে ম্যালেরিয়ায়-বাবালে না ? এখন যেখানে থাকি, সেখানে দ’খানা মেটে চালাঘর, তাও মা মারা যাওয়ার পর আর সেখানে যাই নি, ডোমাদের মত ঝি-চাকর নেই, নিজের হাতে সব করতে হবে-তা আগে থেবেই বলে রাখি। তুমি হলে জমিদারের মেয়ে অপণা কৌতুকের সরে বলিল-আছিই তো জমিদারের মেয়ে । হিংসে হচ্ছে বঝি ? একটু থামিয়া শাস্ত সরে বলিল-কেন একশ’বার ওকথা বলো ? “তুমি কাল মাকে বাবাকে বলে রাজী করাও, আমি তোমার সঙ্গে যেখানে নিয়ে যাবে যাবো, গাছতলাতেও যাবো, আমি তোমার সব কথা জানি, পােলদা মায়ের কাছে বলছিল, আমি সব শনেছি। যেখানে নিয়ে যাবে, নিয়ে চল, তোমার ইচ্ছে, আমার তাতে মতামত কি ? রাত্রে দজনে কেহ ঘামাইল না। বধকে লইয়া সে রওনা হইল । *বশ্যর প্রথমটা আপত্তি তুলিয়াছিলেননিয়ে তো যেতে চাইছ বাবাজী, কিন্তু এখন নিয়ে গিয়ে তুলবে কোথায় ? চাকরিবাকরি ভাল কর, ঘর-দোর ওঠাও, নিয়ে যাবার এত তাড়াতাড়িটা কি ? সিড়ির ঘরে অপর্ণার মা স্বামীকে বললেন-হ্যােগা, তোমার বন্ধি-সন্ধি লোপ পেয়ে যাচ্ছে দিন দিন - না কি ? জামাইকে ও-সব কথা বলেছে ? আজিকালিকার ছেলেমেয়েদের ধরণ আলাদা, তুমি জান না 7 ছেলেমানষে জামাই, টাকাকড়ি, চাকরি-বাকরি ভগবান যখন দেবেন। তখন হবে । আজকালের মেয়েরা ও-সব বোঝে না, বিশেষ ক'রে তোমার মেয়ে সে ধরণেরই নয়, ওর মন আমি খব ভাল বঝি। দাও গিয়ে পাঠিয়ে ওকে জামাইয়ের সঙ্গে-ওদের সখি নিয়েই সখি। উৎসাহে অপর রাত্রে ঘািম হয় না। এমন অবস্থা, কাল সারাদিন অপণাকে লইয়া DDDSDBBB BDBYgSJSBEBS LLLS BBB BB D S S S BDBL BBBBBB আলোকে অপণাকে ভাল করিয়া দেখবারই সযোগ হয় না, দিনে দেখা হওয়া এ বাড়িতে অসম্ভব-কিন্তু কাল সকালটি হইতে তাহারা দশজনে-মাঝে আর কোন বাধা ব্যবধান থাকিবে না ! কিন্তু সন্টীমারে অপণা রহিল মেয়েদেব জায়গায় । তিন ঘণ্টা কাল সেভাবে কাটিল । তার পরেই রেল । এইখানেই অপ, সব প্রথম গহপথালি পাতিল সন্ত্রীর সঙ্গে । ট্রেনের তখনও অনেক দেরি । যাত্রীদের রান্না-খাওয়ার জন্য সেন্টশন হইতে এবটু দরে ভৈরবের ধারে ছোট ছোট খড়ের ঘর অনেকগালি-তারই একটা চার অনায় ভাড়া পাওয়া গেল। অপ, দোকানে খাবার কিনিতে যাইতেLছ দেখিয়া বধ, বললি-তা কেন ? এই তো এখানে উনন আছে, যাত্রীরা সব রোধে খায়, এখনও তো তিন-চার ঘণ্টা