পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:RAsr অপরাজিত অফিসে, নিচের বালতিতে বৈকাল তিনটার সময় কলের মািখ হইতে জল পড়িতেছে - এসব সপরিচিত এই প্রিয় দশ্যগলি আর একবার দেখিবার জন্য-উঃ, মন কি ছটফটাই না করিয়াছে গত ছ’বছর । বাংলা ছাড়িয়া সে ভাল করিয়া বাংলাকে DDBYS BDDDS DB BDBDB BB DBB DBDBDS BD uD সাতটার সময় । রাণীগঞ্জ ছাড়িয়া অনেক দীর আসিবার পরে, বালাময় মাঠের মধ্যে সিঙ্গারণ নদীর গ্রন্মের জল খররৌদ্রে শিকাইয়া গিয়াছে।-দর গ্রামের মেয়েরা আসিয়া নদীখাতের বাল খড়িয়া সেই জলে কলসী ভাত করিয়া লইতেছে-একটি কষক-বধ, জল-ভরা কলম্বী কাঁখে রেলের ফটকের কাছে দাঁড়াইয়া গাড়ি দেখিতেছে --আপ দশ্যটা দেখিয়া পালকিত হইয়া উঠিল-সারা শরীরে একটা অপবর্ণ আনন্দ-শিহরণ ! কতদিন বাংলার মেয়ের এ পরিচিত ভঙ্গিটি সে দেখে নাই ! চোখ, মন জড়াইয়া গেল । বধমান ছাড়াইয়া নিদাঘ, অপরাহের ঘন ছায়ায় একটা অদ্ভত দশ্য চোখে পড়িল । একটা ছোট পাকার ফুটন্ত পদ্মফুলে একেবারে ভরা, ফুলে পাতায় জল দেখা যায় না-ওপারে বিচালি-ছাওয়া গহন্থের বাটী, একটা প্রাচীন সাঁজনা ৷ গাছ জলের ধারে ভাঙিয়া পড়িয়া গালিয়া খসিয়া যাইতেছে, একটা গোবরগাদাআজ সারাদিনের আগােন-বান্টির পরে, বিহার ও সাঁওতাল পরগণার বন্ধীর, আগন-প্লাঙা ভুমিশ্রীীর পরে, ছায়ােভরা পদ্মপকূরটা যেন সারা বাংলার কমনীয় রাপের প্রতীক হইয়া তাহার চোখে দেখা দিল । হাওড়া সেন্টশনে ট্রোেটা আসিয়া দাঁড়াইতেই সে যেন খানিকটা অবাক হইয়া চারিদিকে চাহিয়া দেখিল-এত আলো, এত লোকজন, এত ব্যস্ততা, এত গাড়িঘোড়া জীবনে যেন সে এই প্রথম দেখিতেছে, হাওড়া পল পার হইবার সময় ওপারের আলোকোম্ৰাজবংশ মহানগরীর দশ্যে সে যেন মগ্রধ হইয়া গেল-ওগলো কি ? মোটর বাস ? কই আগে তো ছিল না। কখনও ? কি বড় বড় বাড়ি কলিকাতায়, ফুটপাতে কি লোকজনের ভিড় ! বাড়ির মাথায় একটা কিসের বিজ্ঞাপনের বিজলী আলোর রঙীন হরপ একবার জীবলিতেছে, আবার নিভিতেছে -छेg, की काम्छ ! হ্যারিসন রোডের একটা বোডিং-এ উঠিয়া একা একটা ঘর লইল-দ্রানের ঘর হইতেওঁ সাবান মাখিয়া স্নান সারিয়া সারাদিনের ধামধালি ও গরমের পর ভারী আরাম পাইল । ঘরের আলোর সইচ টিপিয়া ছেলেমানষের মত আনন্দে আলোটাফে একবার জবালাইতে একবার নিভাইতে লাগিল-সবই নতুন মনে হয় । সবই অদ্ভুত লাগে । পরদিন সে কলিকাতার সবত্র ঘরিল-কোন পরিচিত বন্ধ-বান্ধবের সহিত দেখা হইল না । বৌবাজারের সেই কবিরাজ বন্ধটি বাসা উঠাইয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছে, পাব পরিচিত মোসগলিতে নতুন লোকেরা আসিয়াছে, কলেজ সেকায়ারের সেই পরাতন চায়ের দোকানটি উঠিয়া গিয়াছে । সন্ধ্যার সময় সে একটা নতুন বাংলা থিয়েটারে গেল শািন্ধ বাংলা গান শোনার