পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૦૨૨ Urrutours রাণাদি, করক না। এমন যত্ন আর জ্যািটবে কোথাও ? তুমিও যেমন ৷ ” দাপরে একদিন খাইতে বসিয়া অপৰ চুপ করিয়া চোখ বজিয়া বসিয়া আছে । রানীর দিকে চাঙ্কিা হাসিয়া বলিল –একটা বড় চমৎকার ব্যাপার হ’ল-দেখো, এই টকো-যাওয়া এচিড়-চচ্চড়ি কতকাল খাইনি-নিশিচন্দপাের ছেড়ে আর কখনও নয়। —তাই মাখে দিয়েই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল রাণাদিরাণাদি বোঝে এসব কথা-তাই রাণাদির কাছে বলিয়াও সািখ । এ কয়দিন আকাশটা ছিল মেঘ-মেঘ। কিন্তু হঠাৎ কখন মেঘ কাটিয়া গিয়াছে সে জানে না-বৈকালে ঘািম ভাঙিয়া উঠিয়া সে অবাক চোখে চুপ করিয়া বাহিরের রোয়াকে ফসিয়া রহিল-বাল্যের সেই অপবর্ণ বৈকাল-যাহার জন্য প্রথম প্রথম বিরহী বালক-মন কত হাঁপাইয়াছে বিদেশে, ক্লামে একটা অঙ্গপস্ট মধ্যর সমিতিমাত্র মনে অকিয়া রাখিয়া যেটা কবে মন হইতে বেমালাম অন্তহিত হইয়া शिष्ठ्ठळ মনে পড়ে, ছেলেবেলায় এই সব সময়ে ঘাম ভাঙিয়া তাহার মনটা কেমন অকারণে খারাপ হইত-এক একদিন এমন কান্না আসিত, বিছানায় বসিয়া ফাপাইয়া ফাঁপাইয়া কাদিত-তাহার মা ঘাট হইতে আসিয়া বলিত-ও-ওই উড়ে গোিল-ও-ও ওই !** "কেন্দো না খোকা, বাইরে এসে পাখি দেখসে । আহা হা, তোমার বড় দখখ খোকন- তোমার নাতি মরেছে, পাতি মরেছে, সাত ডিঙে ধন সমােদর ডুবে গিয়েছে, তোমার বড় দখখ-কোদো না কেন্দো না, আহা ट्र !' • রানী পাতকুয়া হইতে জল তুলিয়া আনতে যাইতেছে, অপ, বলিল-মনে পড়ে রাণাদি, এই উঠানে এমন সব বিকেলে বৌ-চুরি খেলা খেলতুম কত, তুমি, आभ, क्र्.ि भ्रष्ट्र, एनए}ा- ? রানী বলিল-আহা, তাই বঝি ভাবচিস বসে বসে। কত মালা গাঁথতুিম মনে আছে বকুলতলায় ? সারাদিন বকুলতলাতেই পড়ে আছি, আমি, দিগঙ্গা -আজকাল ছেলেমেয়েরা আর মালা গাঁথে না, বকুল ফলও আর তেমন পড়ে থাকে না-কালে কালে সবই যাচ্চে । কিছু পরে জল লইয়া ফিরিবার সময়ে বলিল-এক কাজ কর না কেন অপ, সতু তো তোদের নীলমণি জ্যাঠার দরবন জমাটা ছেড়ে দেবে, তুই কেন গিয়ে বাগানটা নিগে যা না ? তোদেরই তো ছিল-ও যা, নিজের জমি-জমাই বিক্রী ক’রে ফেললে সব, তা আবার জমার বাগান রাখবে -নিবি তুই ? অপাের বলিল,-মায়ের বড় ইচ্ছে ছিল, রাণাদি । মরবার কিছুদিন আগেও বলত বড় হ'লে বাগানখানা নিস অপাের। আমার আপত্তি নেই, যা দাম হবে আমি দেব । প্রতি সন্ধ্যায় সন্তুদের রোয়াকে মাদর পাতা হয়, রানী, লীলা, অপ, ছেলেপিলেদের মজলিস বসে । সতুও যোগ দেয়, তবে তামাকের দোকান বন্ধ করিয়া আসিতে তাহার রাত হইয়া যায় । অপ বলে-আচ্ছা, আজকাল তোমরা ঘাটের পথে ষাঁড়াতলায় পিঠে দাও না। রাণাদি গৈ কই সেই ঘাঁড়াগাছটা তো নেই