পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুৰ্গা বলিল-তাস খেলবে ? --তা। যা ও ঘর থেকে তাসটা নিয়ে আয় একটু খেলিদুৰ্গা বিপন্নমুখে অপুর দিকে চাহিল। অপু হাসিয়া বলিল-চল আমি लैंप्लिाक्रि তাহার মা বলিল-আহা হা, মেয়ের ভয় দেখে আর বঁচি নে, সারাদিন বলে হেঁটু-মাটি ওপর ক’রে বেড়াবার সময় ভয় থাকে না, আর রাত্রিতে এঘর থেকে ওঘর যেতে একেবারে সব আড়ষ্ট !• • • শিষ্যবাড়ী হইতে অপুর আনা সেই তাসজোড়াটা। তাস খেলায় তিন জনেরই কৃতিত্ব সমান। অপু এখনও সব রং চেনে না-মাঝে মাঝে হাতের তাস বিপক্ষদলের খেলোয়াড় মাকে দেখাইয়া বলে, এটা কি রং, রুইতন ? দ্যাথো a 2 দুর্গার মন আজ খুব খুশি আছে। রাত্রিতে রান্না প্রায়ই হয় না, ওবেলার বাসি ভাত তব’, ‘ব। থাকে। আজি ভাত চডিয়াছে, তরকারী রান্না হইবে, ইহাতে তাহার মহা আনন্দ । আজ যেন একটা উৎসবের দিন। অপু বলেতাস খেলতে খেলতে সেই গল্পটা বলে না। মা, শ্যামলঙ্কার গল্পটা ? হঠাৎ সে মায়ের কোলে মাথা রাখিয়া শুইয়া পড়ে। মায়ের গালে হাত বুলাইতে বুলাইতে আবদারের সুরে বলে—সেই ছড়াটা বলে না মা, সেই-- শ্যামলঙ্কা বাটনা বাটে মাটিতে লুটায় কেশ । দুৰ্গা বলে-খেলার সময় ছড়া বললে খেলা কি ক’রে হবে অপু ? ওঠসবজিয়া বলিল-দুগগা, পাতালকেঁাড় আজ কোথায় পেলি রে ? --সেই যে গোসাইদের বড় বাগানটা আছে ? সেই রাঙী গাই খুঁজতে একবার তুই আর আমি, অপু? সেখানে অনেক ফুটেছিল, কেউ টের পায়নি। মা, খুব বন কি না ? তা হোলে লোকে তুলে নিয়ে যেতো অপু বলিল, সেখানে গিাইছিলি ? উঃ, সে যে বড় বন রে দিদি ! সর্বজয়া সস্নেহে বার বার ছেলের দিকে চাষ্টিয়া দেখিতেছিল। সেদিনকার সেই অপু-আয় চাঁদ আয় চাঁদ খোকনের কপালে টী-ই-ই-ই দিয়ে যা-বলিলে বারবার কলের পুতুলের মত চাদের মত কপালখনি অঙ্গুলিবদ্ধ হন্তের দিকে বুকাইয়া দিত, সে কি না। আজ তাস খেলিতে বসিয়াছে! তাহার কাছে দৃশ্যটা বড় অভিনব ঠেকে ! অপু খেলিতে না পারিলে বা আশা করিয়া পিটু জিততে না পারিলে কিংবা অপুর হাতে খারাপ তাসগুলো গিয়া নিজের হাতে ভাল তাস আসিলে, বিপক্ষদলের খেলোয়াড় হইয়াও তাহার মনে কষ্ট হইতেছিল। দুৰ্গা বলিল-আজ কি হয়েছে জান মা- w