পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুৰ্গা আঙুল দিয়া দেখাইয়া কহিল—ঐ তো আমাদের বাড়ী একটু এগিয়ে গিয়েই, আমি তো-এইটুকু একলা যাবো এখন। আপনি আর দুৰ্গাকে ইহার আগে নীরেন। কখনও ভাল করিয়া দেখে নাই,-চোখ দুটির আমন সুন্দর ভাব কেবল দেখিয়াছে ইহারই ভাই অপুর মধ্যে। যেন পল্পীপ্রান্তের নিভৃত চুত-বকুল-বীথিব গ্রগাঢ় শ্যামস্নিগ্ধতা ডাগর চােখ দু'টিব মধ্যে অর্ধসুপ রাঠিয়াছে। প্রভাত এখনও হয় নাই, রাত্রিশেষের অলস অন্ধকার এখনও জডাইয়। তবে তাহ প্রভাতেব কথা স্মবণ করাইয়া দেয় বটে,-কত সুপ্ত আঁখির জাগরণ, কত কুমারীর ঘাটে যাওয়া, ঘরে ঘরে কত নবীন জাগরণের অমৃত উৎসব-জানালায় জানালায় ধূপগন্ধ । দুৰ্গা খানিকক্ষণ দাড়াইয়া কেমন যেন উসখুসি পরিতে লাগিল। নীরেনের মনে হইল সে কি বলিবে মনে করিয়া বলিতে পারিতেছে না। সে বলিল-না খুকী, তোমাকে আর একটু এগিয়ে দিই ? চল, তোমাদের বাড়ীর সামনে शिछे शांश् । দুৰ্গা ইতস্ততঃ করিতে লাগিলে, পরে একটু মুখ টিপিয়া হাসিল। নীরেনেল মনে হইল। এইবার সে কথা বলিবে। পরীক্ষণে কিন্তু দুৰ্গা ঘাড় নাডিয়া তাঙ্গাল সাহিত যাইতে হইবে না জানাইয়া দিয়া, বাড়ীর পথ ধরিয়া চলিয়া গেল । দুপুব বেলা। ছাদে কাপড় তুলিতে আসিয়া গোকুলের বউ নীরেনের ঘরেন্স দুয়াবে উকি দিয়া দেখিল ! গরমে নীরেন বিছানায় শুইয়া খানিকটা এপাশ ওপাশ করিবার পব, নিদ্রার আশায় জলাঞ্জলি দিয়া, মেজেতে মাদুর পাতিয়া বাড়ীতে পত্র লিখিতেছিল। গোকুলের বউ হাসিয়া বলিল-ঘূমো ও নি যে ঠাকুরপো ? আমি ভাবলাম ঠাকুরপো ঘূমিয়ে পডোচে বুঝি। আজ মোচার ঘাট যে বড় খেলে না—পাতেই রেখে এলে, সেদিন তো সব খেয়েছিলে ? -আসুন বৌদি । মোচার ঘণ্ট খাবে কি ? বাঙালে কাণ্ড সব ; যে কাৰ্ল তাতে খেতে ব’সে কি চোখে দেখতে পাই-কোনটা ঘণ্টা; কোনটা কি ? গোকুলের বউ ঘরের দুয়ারের কবাটে মাথাটা হেলাইয়া ঠেস দিয়া, অভ্যস্তভাবে মুখের নীচু দিকটা আঁচল দিয়া চাপিয়া দাড়াইল। -ইস, ঠাকুরপো, বডড শহুরে চাল দিচ্ছি যে ! ওইটুকু ঝাল আর তোমাদের সেখানে কেউ খায় না-না ? --মাপ করবেন বৌদি, এতে যদি “ওইটুকু হয়, তবে আপনাদের বেশীট ywo