পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর অপু দিদির গায়ে হাত দিয়া চুপি চুপি বলিল-একটা কথা বলবো দিদি ? --তোর সঙ্গে মাষ্টার মশায়ের বিয়ে হবে দুৰ্গার লজ্জা হইল, সঙ্গে সঙ্গে তাতার অত্যন্ত কৌতুহলও হইল ; কিন্তু ছোট ভাইএর কাছে। এ সম্বন্ধে কোনো কথাবার্তা বলিতে তাহার সঙ্কোচ হওয়াতে সে চুপ করিয়া রহিল। অপু আবার বলিল-খুড়ীমা বলছিল রাণুর মায়ের কাছে আজ বিকালে। মাষ্টাব মশায্যের নাকি আমন্ত নেই কৌতুহলের আবেগে চুপ করিয়া থাকা অসম্ভব হইয়া উঠিল। সে তাচ্ছিল্যের সুরে বলিল-হঁ্যা-বলছিল-যাঃ-তোর সব যেমন কথা অপু প্রায় বিছানায় উঠিয়া বসিল-সত্যি বলচি দিদি, তোর গা ছুয়ে বলুচি। আমি সেখানে দাডিয়ে, আমাকে দেখেই তো কথা উঠল। বাবাকে দিয়ে পত্তিব লেখাবে সেই মাষ্টাব মশায্যের বাবা যেখানে থাকেন। সেখানে —ম জানে ? --আমি এসে মাকে জিগ্যেস করবো ভাবলাম-ভূলে গিাইচি । জিগ্যোস করবো দিদি ? মা বোধ হয় শোনে নি। কাল খুড়ীমা মাকে ডেকে নিয়ে বলবে বলছিল পরে সে বলিল-তুই কত রেলগাভী চডবি দেখিস, মাষ্টার মশাইরা থাকেন। এখান থেকে অনেক দূর-রেলে যেতে হয় দুৰ্গা চুপ করিয়া রহিল। সে রেলগাড়ীর ছবি দেখিয়াছে।--অপুর একখানা বইয়ের মধ্যে আছে। খুব লম্বা, অনেকগুলা চাকা, সামনের দিকে কল, সেখানে আগুন দেওয়া আছে, ধোয় ওড়ে। রেলগাড়ীখানা আগাগোডা লোহার, চাকাও তাই—গরুর গাড়ীর মত কাঠের চাকা নয়। রেল লাইনের ধারে কোনো খড়ের বাড়ী নাই, থাকিতে পারে না, পুডিয়া যায়। রেলগাড়ী যখন চলে। তখন তাহার নল হইতে আগুন বাহির হয়। কিনা ! সে ভাইএর গায়ে হাত বুলাইয়া বলিলতোকেও সঙ্গে করে নিয়ে যাবো। তাহার পর দুজনেই চুপ করিয়া ঘুমাইবার যোগাড় করিল। ঘুমাইতে গিয়া একটা কথা বার বার দুর্গার মনে হইতেছিল -ঠাকুর সুদৰ্শন তাহার কথা শুনিয়াছেন । আজই তো দুদর্শনের কাছে সে -ঠাকুরের বড় ড দিয়া-মা তো ঠিক কথা বলে! অপু বলিল-লীলাদির জন্যে কেমন চমৎকার শাড়ী কেনা হয়েচে, আজি লীলাদির কাকা বিয়ের জন্যে কিনে এনেচে রানাঘাট থেকে, সেজ জেঠমা বল্পে -বালুচরের শাড়ী MOQ