পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুৰ্গা যেন কেমন হইয়া গিয়াছিল- তাহার পা ঠক্‌ ঠক্‌ করিয়া কঁাপিতেছিল। -সে দেওয়ালে ঠেস দিয়া দাড়াইয়া বলিল-আমি তো জানিনে কাকীমাআমি তো সেজ ঠাকুরুণ বলিলেন-বল্পেই আমি শুনবো ? ঠিক ও নিয়েচে-ওর ভাব দেখে আমি বুঝতে পেরেচি। আচ্ছা, ভাল কথায় বলচি কোথায় রেখেচিল দিয়ে দে, জিনিস দিয়ে দাও ত কিছু বোলব না-আমার জিনিস পেলেই হোলি- s পূর্বোক্ত কুটুম্বিনী বলিলেন-ভদ্রলোকের মেয়ে চুরি করে কোথাও শুনিনি তো কখনো। এই পাড়াতেই বাড়ী নাকি ? সেজ ঠাকুরুণ বলিলেন-তুমি ভাল কথার কেউ নাও ! দেখবে তুমি মজাটা একবার ? তুমি আমার বাড়ীর জিনিস নিয়ে হজম কর্তে গিয়েচো—একি যা তা পেয়েচ বুঝি ?—তোমায় আমি আজ-- পরে তিনি দুর্গার হাতখানা ধরিয়া হিড়ী হিড়া করিয়া টানিয়া তাহাকে দালানের মাঝখানে আনিয়া বলিলেন, দুৰ্গা বল এখনও কোথায় রেখেছিস ?-- বলবি নে ? না তুমি জানো না, তুমি খুকী—তুমি কিছু জানো না-শীগগির বল, নৈলে দাতের পাটি একেবারে সব ভেঙে গুড়ো ক’রে ফেলবাে এখুনি! বল, শীগগির-বল এখনো বলচি--- টুনির মা হাত ধরিতে আগাইয়া আসিতেছিল, একজন কুটুম্বিনী বলিলেন, রোসো না, দেখচো না। ওই ঠিক নিয়েচে । চোরের মারই ওষুধ-দিয়ে দাও, এখুনি মিটে গেল,-কেন মিথ্যে দুৰ্গার মাথার মধ্যে কেমন করিতেছিল। সে অসহায়ভাবে চারিদিকে চাহিয়া অতি কষ্টে শুকনো জিবে জড়াইয়া উচ্চারণ করিল-আমি তো জানিনে কাকীমা, ওরা সব চলে গেল। আমিও তো-কথা বলিবার সময় সে ভয়ে আড়ষ্ট হইয়া। সেজ ঠাকরুনের দিকে চোখ রাখিয়া দেওয়ালের দিকে ঘেষিয়া যাইতে লাগিল । পরে সকলে মিলিয়া আরও খানিকক্ষণ তাহাকে বুঝাইল। তাহার সেই এক কথা-ৰসে জানে না । কে একজন রলিল-পাকা চোরটেপি বলিল-বাগানের আমগুলো তলায় পড়বার যো নেই কাকীমাশেষোক্ত কথাতেই বোধ হয়। সেজ ঠাকরুণের কোন ব্যথায় ঘা লাগিল । তিনি হঠাৎ বাজাখাই রকমের আওয়াজ ছাড়িয়া বলিয়া উঠিলেন-তবে রে পাজি, নচ্ছার, চোরের ঝাড়, তুমি জিনিস দেবে না ? : দেখি তুমি দেও কি না। দেও ! কথা শেষ না করিয়াই তিনি দুৰ্গার উপর ঝাঁপাইয়া পড়িয়া তাহার èt