পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গড়ায়, পোটো চলচিত্র করে, মালাকার সাজ যোগায়, বারাসে-মধুখালির দ’ হইতে বাউরীরা রাশি রাশি পদ্মফুল তুলিয়া আনে। আঁসামালির দীনু সানাইদার অন্য অন্য বৎসরের মত রসুনাচৌকি বাজাইতে আসিল। প্রভাতের আকাশে আগমনীর আনন্দ সুর বাজিয়া ওঠে-আসন্ন হেমন্ত ঋতুর স্নেহ-অভ্যর্থনা,-নর ধান্যগুচ্ছের, নব আগন্তুক শেফালিদলের, হিমালয়ের পার হইতে উডিয়া আসা পথিক-পাখী শ্যামার, শিশির-সুিগ্ধ মৃণালফোটা হেমন্তসন্ধ্যাব । নৃতন কাপড পরাইয়া ছেলেকে সঙ্গে লইয়া হরিহর নিমন্ত্রণ খাইতে যায়। একখানি অগোছালো চুলে-ঘেবা ছোট মুখেব সনির্বন্ধ গোপন অনুরোধ দুয়ারের পাশের বাতাসে মিশাইয়া থাকে-তবিহব পথে পা দিযা কেমন অন্যমনস্ক হইয়া পড়ে-ছেলেকে বলে, এগিয়ে চলো, অনেক বোলা গিয়েচে বাবা গাঙ্গলী বাড়ীব প্রাঙ্গন উৎসববেশে সজ্জিত হাসিমুখ ছেলেমেয়েতে ভরিয়া গিযাছে। অপু চাহিয়া দেখিল সতু ও তাহার ভাই কেমন কমলালেবু রং-এর জামা গায়ে দিয়াছে-সবুজ সাড়ী পরিয়া ও দিব্যি চুল বঁাধিয়া বাণু-দিদিকে যা DDuDBBDuD SS S SKDD DDDB BB DBDBDD BBB Buuuu BBD gDD আর পাঁচ ছয়টি মেয়ের সঙ্গে পূজাব দালানে দাডাইয়া খুব গল্প করিতেছে ও হাসিতেছে। সুন্নয়নী বাদে বাকী মেয়েদের সে চেনে না, বোধ হয়। অন্য জায়গা হইতে উহাদের বাড়ী পূজার সময় আসিয়া থাকিবে-শহরের মেয়ে বোধহয়, যেমন সাজগোজ, তেমনি দেখিতে । অপু একদৃষ্টি তাহাদেব দিকে চাহিয়া বহিল । ওদিকে কে চেচাইয়া বলিতেছে-বড় সামিয়ানাটা আনবার ব্যবস্থা এখনও হোল না ? বা-তোমাদের যা কাজকর্ম, দেখো এর পর মজাটা তারপর ব্রাহ্মণ খেতে বসবে। পাচটায় ? পথের পাঁচালী ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ দেখিতে দেখিতে দিন কাটিয়া গেল। শীতকালও শেষ হইতে চলিয়াছে। দুৰ্গার মৃত্যুর পর হইতেই সর্বজয়া অনবরত স্বামীকে এ গ্রাম হইতে উঠিয়া যাইবার জন্য তাগিদ দিয়া আসিতেছিল, হরিহরও নানা স্থানে চেষ্টার কোন ক্রটি করে নাই । কিন্তু কোনো স্থানেই কোন সুবিধা হয় নাই । সে আশা সর্বজয়া আজকাল একরূপ ছাড়িয়াই দিয়াছে। মধ্যে গত শীতকালে হরিহরের እb”ዓ