পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুঁজিবার চেষ্টা নাই, মধ্যবিত্তের কার্পণ্য নাই। বেলাশেষের ইন্দ্রজালে মাঠ, नौ, दन भांब्रांभश। মাঠের মধ্যে বেড়াইতে বেড়াইতে নবীন পালিত মহাশয় একবার এই মাঠের উত্তর অংশের জমিতে শাকআলুর চাষ করিয়া কিরূপ লাভবান হইয়াছিলেন সে গল্প করিতে লাগিলেন। একজন বলিল, কুঠির ইটগুলো নাকি বিক্রী হবে। শুনছিলাম, নবাবগঞ্জের মতি দা নাকি দরদস্তুর কচ্চে। মতি দার কথায়, সে ব্যক্তি সামান্য অবস্থা হইতে কিৰূপে ধনবান হইয়াছে সে কথা আসিয়া পডিল । ক্রমে তাহা হইতে বর্তমান কালের দুমূল্যতা, আষাড়ুর বাজারে কুণ্ডুদেব গোলদারী দোকান পুডিয়া যাইবার কথা, গ্রামের দীনু গাঙ্গুলির মেয়ের বিবাহের তারিখ কবে ।পডিয়াছে প্রভৃতির বিবিধ আবশ্যকীয় সংবাদের আদান-প্রদান হইতে লাগিল । হরিহরের ছেলে বলিল-নীলকণ্ঠ পাখী কৈ বাবা ? এই দেখো এখন, বাবলাগাছে এখুনি এসে বসবেবালক মুখ উচু করিয়া নিকটবর্তী সমুদয় বাবলাগাছের মাথার দিকে চাহিয়া দেখিতে লাগিল। মাঠের ইতস্তত নীচু নীচু কুলগাছের অনেক কুল পাকিয়া আছে, বালক অবাক হইয়া লুব্ধদৃষ্টিতে সেদিকে চাহিয়া চাহিয়া দেখিল। কয়েকবার কুল পাডিতে গিয়া বাবার বকুনিতে তাহাকে নিবৃত্ত হইতে হইল। এত ছোট গাছে কুল হয় ? তাহদের পাড়ায় যে কুলের গাছ আছে, তাহা খুব উঁচু বলিয়া ইচ্ছা থাকিলেও সে সুবিধা করিতে পারে না। ভারী আঁকশীট দুই হাতে আঁকড়াইয়া ধরিয়াও তুলিতে পারে না, কুপথ্যের জিনিস লুকাইয়। খাওয়া কষ্টসাধ্য হইয়া পডে-এ সে টের পায়। খবর পাইয়া মা আসিয়া বাড়ী ধরিয়া লইয়া যায়, বলে-ওমা আমার কি হবে। এমন দুষ্ট ছেলে হয়েচ তুমি ? এই সেদিন উঠলে জর থেকে, আজ অমনি কুলতলায় ঘুরে বেড়ােচ্ছ! একটুখানি পিছন ফিরেচি, আর অমনি এসে দেখি বাড়ী নেই ! কটা কুল খেয়েচিস, দেখি মুখ দেখি ? সে বলে, কুল খাইনি তো মা, তলায় একটাও কুল পডে নেই, আমি বুঝি পাড়তে পারি ? পরে সে টুকটুকে মুখটি মায়ের মুখের অত্যন্ত নিকটে লইয়া গিয়া হা করে। তাহার মা ভাল করিয়া দেখিয়া পুত্রের ননীর মত গন্ধ বাহির হওয়া সুন্দর মুখে চুমা খাইয়া বলে-ককৃখনো থেও-না যেন থোকা! -“তোমার শরীর সেরে উঠক, আমি কুল কুড়িয়ে আচার করে হাড়িতে তুলে রেখে দেব WS