পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরে আবদারের সুরে বলে--"গাও না মা, গানটা ? সর্বজয়া হাসিয়া বলে-হ্যা, ৭খন কি আর গলা আছে-দূর-এসে দু’জনে গাই’, ‘এসো না মা-খুব হবে, এসোসর্বজয়ার মনে আছে।--অপু যখন ছোট ছিল তখন কোনও কোনও মেয়েমজলিসে, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের গান হয়ত হইত, অপুর গলা ছিল খুব মিষ্টি কিন্তু তাহাকে প্রথমে কিছুতেই গান-গাওয়ানো যাইত না-অথচ যেদিন তাতার গাহিবাব ইচ্ছা চাইত, সেদিন মায়ের কাছে চুপি চুপি বার বার বলিত, আমি কিন্তু আজ গান গাইবো না, গাইতে বলে না। অর্থাৎ সেদিন তাকে এক আধৰার বলিলেই সে গাহিবে। সর্বজয়া ছেলের মন বুঝিয়া অমনি বলিততা অপু এবার কেন একটা গান কৰু না ?--দু’। একবার লাজুক মুখে অস্বীকার করার পর অমনি অপু গান শুরু করিয়া দিত । সেই অপু এখন একজন মানুষের মত মানুষ। " এত রূপ এ অঞ্চলের মধ্যে কে কবে দেখিয়াছে ? একহারা চেহারা বটে, কিন্তু সবল, দীর্ঘ, শক্ত হাতপ। কি মাথার চুল, কি ডাগর চোখের নিষ্পাপ পবিত্র দৃষ্টি ; রাঙা ঠোঁটের দু’পাশে বালোিপ সে সুকুমায় শুঙ্গী এখনও বিলুপ্ত হয় নাই, শুধু সব জয়াই তাহা পরিতে পারে । অপু কিন্তু সে ছেলেবেল বি অপু আf * নাই | প্রায় সম্পই বদলাইয়া গিয়াছে, সে অপূ1 ? 'সি, সে ছেলেমান্তৰ্ন, সে কথায় কথায় মান অভিমান, আবদার, গলাষ সে রিণ, রিণে মিষ্টি সুর — এখনও অপুর স্বর খুবই মিষ্টি--তবুও সে অপরূপ বাল্যাম্বর, সে চাঞ্চলা-পাগলামি-"সে সবের কিছুই নাই। সব ছেলেই। বাল্যে সমান ছেলেমাগুষ থাকে না। কিন্তু অপু ছিল মৃতিমান শৈশব । সরলতায়, দুষ্টামিতে, রূপে, ভাবুকতায়-দেবশিশুর মত ! এক ছেলে ছিল তাই কি, শত ছেলেতে কি হয় ? সর্বজয়া মনে মনে বলে-বেশী চাই “ন, দশ ট। পাচট{ চাতনে ঠাকুর, ওকেই আর জন্মে আবার কোলজোড ক’রে দিও। সবজিয়ার জীবনের পাত্র পরিপূর্ণ করিয়া অপু যে অমৃত শৈশবে পরিবেশন করিয়াছে, তারই স্মৃতি তার দুঃখ-ভরা জীবন-পাথেয়। আর কিছুই সে কোনও কোনও দিন রাত্রে অপু মায়ের কাছে গল্প শুনিতে চায়। সবজয়ী বলে-তুই তো কত ইংরেজী বই পন্ডিস, কত কি-তুই একটা গল্প বল না। বরং শুনি। অপু গল্প করে। দু'জনে নানা পরামর্শ করে, সর্বজয়া পুত্রের বিবাহ দিবার ইচ্ছা প্রকাশ করে! কঁাটােদহের সাণ্ডাল বাড়ি নাকি ভালো মেয়ে আছে ং সে শুনিয়াছে, অপু পাশটা দিলেই এইবার• • • Sኛኃ¢