পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেরেছেন তো দেখছি ? আপনাকে কিন্তু চেনা যায় না-ও কতকাল পর - আট বছর খুব্ধ হবে-না ? অপু এতক্ষণ পর কথা ফিরিয়া পাইল। সম্মুখের এই অনিন্দ্যসুন্দরী তরুণী লীলাও বটে, না-ও বটে। কেবল হাসির ভঙ্গি ও এক ধরণের হাত রাখিবার ভঙ্গিটা পরিচিত পুরানো। সে বলিল, আট বছর-হঁ্যা তা-তো-তোমাকেও দেখলে চেনা যায় না। ’ অপু “আপনি বলিতে পারিল না, মুখে বাধিল, লীলার সম্বোধনে সে মনে আঘাত श्रांझेशांछिल । লীলা বলিল-আপনাকে দু’দিন দেখেছি, পবিত্ত কলেজে যাবার সময় গাডিতে উঠছি, দেখি কে একজন গাড়ী-বারান্দার ধারে বেঞ্চিতে ব’সে-দেখে মনে হ’ল কোথায় দেখছি যেন-আবার কাল ও দেখি ব’সে-আজ সকালে বাইরের ঘরে খবরের কাগজখানা এসেছে কিনা দেখতে জানাল দিয়ে দেখি আজও ব’সে-তখন হঠাৎ মনে হ’ল আপনি-- তখনই মাকে বলেছি, মা আসছেন- কি করছেন কলকাতায় ? বিপনে ?-বাঃ, তা এতদিন আছেন, একদিন এখানে আসতে নেই ? বালোব সেই লীলা -একজন অত্যন্ত পরিচিত, অত্যন্ত আপনার লোক যেন দূরে চলিয়া গিয়া পর হইয়া পডিয়াছে। ‘আপনি বলিবে না “ তুমি' বলিবে, দিশাহারা অপু ত্যাহা ঠাওর করিতে পারিল না। বলিল,-কি ক’রে আসব ? আমি কি ঠিকানা জানি ? লীলা বলিল-ভাল কথা, আজ এখানে হঠাৎ কি করে এসে পড়লেন ? অপু লজ্জায় বলিতে পারিল না যে, সে এখানে থকিবার স্থানের সুপারিশ করাইতে আসিয়াছে। লীলা জিজ্ঞাসা করিল-না ভাল আছেন ? বেশআপনার বুঝি সেকেণ্ড ইয়ার ? আমার ফাস্ট ইয়ার আর্টস। একটি মহিলা ঘরে ঢুকিলেন। অপু চিনিল, বিস্মিতও হইল। লীলার মা মেজ-বৌরাণী, কিন্তু বিধবার বেশ । আট দশ বৎসর পূর্বের সে অতুলনীয় রূপরাশি এখন একেবারে নিশ্চিহ্ন হইয়া না গেলেও দেখিলে হঠাৎ চেনা যায় না। অপু পায়ের ধূলা লইয়া প্রণাম করিল। মেজ-বৌরাণী বলিলেন—এসো বাবা এসো, লীলা কালও বলেছে, কে একজন বসে আছে মা, ঠিক বর্ধমানের সেই অপূর্বের মত—আজ আমাকে গিয়ে বললে, আর কেউ নয় ঠিক অপূর্বতখন আমি ঝিকে দিয়ে ডাকতে পাঠালাম-বসে, দাড়িয়ে কেন বাবা ? ভাল আছ বেশ ? তোমার মা কোথায় ? অপু সঙ্কুচিতভাবে কথার উত্তর দিয়া গেল। মেজবৌরাণীর কথায় কি